॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে রচিত গীতি আলেখ্য ‘পদ্মাকন্যা শেখ হাসিনা’ ও বহুভাষিক আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে রাঙামাটিতে দেশ বরেণ্য শিল্পী, আবৃত্তি শিল্পী, ও শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
শনিবার বিকেল ৪টায় পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্টের উদ্যোগে রাঙামাটি ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও সাবেক সংস্কৃতি সচিব আজিজুর রহমান আজিজ। কবি আনিস মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই নিউজ এডিটর কবি নিয়ামত আলী, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও এ আয়োজনের প্রধান সমন্বায়ক সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিজন চৌধুরী, বোধন আবৃত্তি স্কুলের প্রিন্সিপাল পারভেজ চৌধুরী, কবি আসলাম সানী, হেদায়েতুল আজিজ মুন্না ও রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট পরিচালক রুনেল চাকমাসহ অন্যান্য অতিথিরা।
আলোচনা সভার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রচিত বিভিন্ন কবিতা ও গান পরিবেশন করে রাঙামাটি স্থানীয় শিল্পীগোষ্ঠী সুর নিকেতন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে তিন পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কবিরা নিজস্ব ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে গীত রচনা ছিলেন, আনিস মুহম্মদ, গ্রন্থনা, সুরারোপ ও পরিচালনায় ছিলেন, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও রাঙামাটি সুর নিকেতন প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিখিল কুমার চাকমা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবর্ষ পালনে এই সুন্দর উদ্যোগ নেওয়ায় পিস অ্যান্ড হারমোনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারী চিন্তাধারার ফসল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। পার্বত্য জেলার অনগ্রসর জাতি গোষ্ঠির কল্যাণে উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। কাজেই তিন জেলার উন্নয়নে আজ যা হচ্ছে তা বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী চিন্তাধারারই ফসল।
তিনি আরো বলেন- যে জাতির ভাষা হারিয়ে যায় সে জাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। যে জাতির ভাষা থাকবে না, সে জাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যে জাতি ভাষা থাকবে সে জাতি বেঁচে থাকবে অনন্ত কাল ধরে। তাই নিজেদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক রক্ষা করতে হলে ভাষা ও সাংস্কৃতির চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার ভাষা টিকিয়ে রাখতে পিস অ্যান্ড হারমোনির কার্যক্রমকে তিনি স্বাগত জানান। এছাড়াও তিনি পিস অ্যান্ড হারমোনির কার্যক্রম পরিচালানায় উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।