ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামীকাল ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারী পর্যন্ত ৫ দিন আবাসিক হোটেলগুলোতে বহিরাগতদের আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বান্দরবানের স্থানীয় প্রশাসন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু জাফর স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বৃহস্পতিবার বহিরাগতদের প্রবেশে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- বরিাগত কারা ? হোটেল বুকিং ছাড়া কি অন্য কোনো ভাবে সন্ত্রাসিরা শহরে অবস্থান করতে পারেনা ? পর্যটন শহরে এমন নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই যুক্তি সঙ্গত নয়।
এদিকে হঠাৎ এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছেন বান্দরবানে ভ্রমণ ইচ্ছুক পর্যটকরা। এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় একমাস আগেবুকিং দেয়া গাড়ীর টিকেট সংগ্রহকারী ট্যুরিজম এজেন্ট, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও স্থানীয় আবাসিক হোটেলের মালিকরা এখন কোটি টাকার লোকশান গুনতে বসেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছন, শীতের সময়ে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন ঘটে প্রতিবছর। দেশী-বিদেশী হাজারো পর্যটকে মুখরিত এখন বান্দরবানের দর্শণীয় স্থানগুলো। কিন্তু আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং গেস্টহাউজগুলোতে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাত থেকে ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত টানা ৫দিন আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
এ দিকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বান্দরবানে পর্যটন শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থানীয় ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারীর জন্য প্রায় একমাস আগে থেকেই জেলা শহরের আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেষ্টহাউজগুলো বুকিং মানি পাঠিয়ে রুম বুকিং এবং যাত্রীবাহী গাড়ীগুলোর অগ্রীম টিকেট সংগ্রহ করে রেখেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। অগ্রীম বুকিংয়ের টাকা নিয়ে অনেকে আবাসিক হোটেলগুলোর উন্নয়নে ব্যয়ও করে ফেলেছেন। আতিমধ্যে বান্দরবানে আসা পর্যটকরা তরিগরি করে পিরেছেন।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান। সূত্র- অন্য মিডিয়া