॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানে আদালতের নির্দেশে পৌর শহরের মধ্যম পাড়ায় সাঙ্গু নদীর পাড়ে (বরিশাল পাড়ায়) অবৈধভাবে গড়ে তোলা বসতিতে অভিযান চালিয়ে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে অবৈধ ঘর। একই সময়ে বসতি উচ্ছেদ করা জায়গা মূল মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শাহনেয়াজ মেহেদীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা মো. মুছা সওদাগরের ক্রয়কৃত এক শতক জায়গা খুটি মিয়া গং জোরপর্বক দখল করে সে জায়গার ওপর টিনশেড দোতলা ঘর করে পাঁচ পরিবারকে ভাড়া দেয়।
পরে মো. মুছা বাদি হয়ে মামলা করলে দীর্ঘ শুনানী শেষে চলতি বছর বান্দরবান জেলা জজ আদালত বাদি মো.মুছার পক্ষে রায় দেয় এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাদিকে জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়।
নির্দেশের আলোকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এস শাহনেওয়াজ মেহেদীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রে জায়গার মালিক মো. মুছা সওদাগর বাদি হয়ে ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের আদালতে ২০০৭ সালে একটি মামলা করে (মামলা নং ৩২(ডি)/২০০৭)।
পরে বান্দরবানে জজ আদালত প্রতিষ্ঠা হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আদালতের মামলাটা বান্দরবান জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয় এবং অপর ১৫/২০০৯ এ রূপান্তর হয়ে মামলা চলে আসে। দীর্ঘ শুনানী শেষে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাদি মো. মুছা সওদাগরের পক্ষে রায় দেয়া হয়। রায়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলকূত এক শতক জায়গা বাদি মো. মুছা সওদাগরকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায়ের পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলানা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এক শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে যাওয়া জেলা প্রশাসনের বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হুদা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও উদ্ধারকৃত জায়গা বাদি ও জায়গার মালিক মো. মুছা সওদাগরকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। অভিযানকালে আদালতের কর্মচারী, জেলা প্রশাসনের কর্মচারী ও পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।