॥ আলমগীর মানিক ॥
কাপ্তাই হ্রদে স্পীডবোট দুর্ঘটনার ৪০ ঘন্টা পর পানিতে তলিয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রোববার (৬ নভেম্বর) জেলেদের মাছ ধরার জালে দুই মরদেহ আটকা পড়লে তারা পুলিশে খবর দেয় এবং পুলিশ গিয়ে লাশ জিম্মায় নিয়ে মর্গে প্রেরণ করে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে বালুভর্তি বোট ও স্পিডবোটের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী রিটন ও এলিনা চাকমা নিখোঁজ হয়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের এডি আবু জাফর।
নিহতরা উভয়েই শিজক কলেজের উম্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের এইচএসসি’র শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে। এদিকে উদ্ধারের পর লংগদু থানার এসআই মশিউর রহমান ও এসআই শাহাবুর আলম শিহাবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মরদেহগুলো লংগদু থানায় নিয়ে যায়। লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল বলেন, আমাদের পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সাথে উদ্ধার অভিযানে প্রথম দিন থেকে ঘটনাস্থলে ছিল।
শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে বাঘাইছড়ি থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোট ও রাঙামাটি থেকে ছেড়ে আসা বালুভর্তি বোটের সাথে ধাক্কা লেগে স্প্রিডবোটটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এসময় স্প্রিডবোটটিতে থাকা ৯জন যাত্রীর সকলেই কাপ্তাই হ্রদে পানিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ৭জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও রিটন ও এলিনা নামের দুই শিক্ষার্থী হ্রদের পানির নীচে তলিয়ে যায়। স্প্রিডবোট চালকের খামখেয়ালীতেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে এবং স্প্রিডবোটে থাকা যাত্রীদের কারো গায়েই জীবন রক্ষাকারী জ্যাকেট পরিধান ছিলোনা বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা।