॥ আলমগীর মানিক ॥
চট্টগ্রাম থেকে ছদ্মবেশে রাঙামাটি এসে মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় দুইটি মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের এক সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ। শনিবার ভোররাতে ঘাগড়ায় বিশেষ চেকপোষ্ট বসিয়ে মিজানুর রহমান মিজান নামের এই ব্যক্তিকে সুজুকি জিক্সার মোটর সাইকেলসহ আটক করা হয়। মিজান রাঙামাটি শহরের হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা হলেও সে প্রায় সময়ই চট্টগ্রামে অবস্থান করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মানিকছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো একটি পালসার মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাই চক্রের সদস্যরা অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়।
রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাত সাড়ে তিনটার সময় আমাদের কাছে রাঙাপানি থেকে এবং ভেদভেদী থেকে মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে মর্মে খবর আসে। সাথে সাথেই আমরা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাসী শুরু করি। অবশেষে ঘাগড়ায় মিজানকে হাতেনাতে গাড়িসহ আটক করি এবং মানিকছড়ি থেকেও একটি গাড়ি উদ্ধার করি। দু’টি মোটর সাইকেলই একই চোর চক্রের সদস্যরা রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি ও ভেদভেদীর পৃথক দুইটি বসতবাড়ির গ্রীল কেটে চুরি করে তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মূলতঃ চট্টগ্রাম থেকে ছদ্মবেশে রাঙামাটিতে এসে দিনের বেলায় মোটর সাইকেল রাখার স্থানগুলো রেকি করে চোর চক্রের সদস্যরা। তারপর রাতে সুযোগ বুঝে তালা কেটে গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম চলে যায়। এরপর গাড়িগুলো ফেনী, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে দেয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। ইতোমধ্যে রাঙামাটি থেকে মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত আরো কয়েক জনের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ।
এদিকে কোতয়ালী থানার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটি শহরে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পুরো শহরজুড়েই পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাসী চালানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, রাঙামাটির স্থানীয় একটি উপজাতীয় গ্রুপের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দামি দামি মোটর সাইকেলের তথ্য ও চুরি করে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার রুট সম্পর্কে অবহিত হয় সিন্ডিকেট চক্র। এমন তথ্য জানতে পেরে কোতয়ালী থানা পুলিশ চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করছে।