মেহেদী ইমাম
রাঙামাটির নানিয়ারচরে নির্মিত হতে যাচ্ছে ৩০৬ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বৌদ্ধমূর্তি। দেশের সব চেয়ে বড় এই বৌদ্ধমূর্তি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৪শত কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নানিয়ারচর রত্নাংকুর বন বিহারে ৩০৬ফুট উচ্চতার এই বৌদ্ধমূর্তি নির্মাণকল্পে বুদ্ধের স্বরণে ধর্মীয় সভার আয়োজন করে রত্নাংকুর বন বিহার। এতে বুদ্ধ মূর্তি দান, সঙ্ঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দানসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঙ্ঘ প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফুরমোন আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সহধর্মীনী রিপা চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমা, বুড়িঘাট ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান কল্পনা চাকমা, রত্নাংকুর বন বিহার সভাপতি কমল কান্তি দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক প্রভাত কুসুম চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক উষা কিরণ চাকমাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পূণ্যার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা ও ৩০৬ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বৌদ্ধমূর্তি নির্মাণে পূণ্য আলোচনা করেন, খাগড়াছড়ি ধর্মপুর বন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদ্দশী মহাস্থবির, নানিয়ারচর রত্নাংকুর বন বিহার অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির, খাগড়াছড়ি পাড়াবন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ব্রক্ষ্মদত্ত মহাস্থবির ও রাজবন বিহারের জ্ঞান প্রিয় মহাস্থবির।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৌদ্ধমূর্তি নির্মাণ একটি বিশাল পূণ্যের কাজ। নানিয়ারচরে বিশাল এই বৌদ্ধমূর্তি টি নির্মাণ করা হলে আমরা অনেক পূণ্য ও নির্বাণ লাভ করতে পারব। বুদ্ধের বানী মনে ধারণ করে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এলে তবেই এই বিশাল বৌদ্ধমূর্তি টি নির্মাণ করা সম্ভব হবে এবং আমাদের মাঝে শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আসবে। বিকেলে নানিয়ারচর রত্নাংকুর বন বিহার অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির ৩০৬ফুট উচ্চতার এই বিশাল বৌদ্ধমূর্তিটির নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। অতিথি ও দায়ক দায়িকাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই বিশাল বৌদ্ধমূর্তি নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়।