আবারও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি

369

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২৮টি সদস্য পদের মধ্যে ২৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে টানা তৃতীয় বারের মত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী পরিষদের নতুন কমিটিতে ফের ঠাঁই মিলেছে পাহাড়ে আওয়ামী রাজনীতির প্রাণ পুরুষ ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি’র।

গত রোববার (১ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এতথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবনের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের নতুন নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দীপংকর তালুকদার এমপি’র নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, দাদার প্রতি নেত্রীর যে আস্থা ও বিশ্বাস,তারই প্রমাণ মিলেছে পুনরায় তাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই দেয়ায়। আমরা পাহাড়ের আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগি সংগঠনের পক্ষ থেকে নেত্রীর প্রতি জানাচ্ছি গভীর কৃতজ্ঞতা। এর মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতি পাহাড়ে আরো বিকশিত হবে।’

নেতৃবৃন্দরা আরো জানিয়েছেন, টানা তৃতীয় বারের মত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী পরিষদের নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে দীপংকর তালুকদার এমপি’ পদ পাওয়ায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন দলীয় অঙ্গ-সংগঠনের পক্ষথেকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

উলে¬খ্য, গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামীলীগের লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে টানা দশমবারের মতো নতুন সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তৃতীয়বারের মতো ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই দিন ৮১ সদস্যের কমিটির মধ্যে ৪৮টি পদে মনোনীত নেতাদের নাম ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গ, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক দীপংকর তালুকদার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর প্রতিবাদে কাদের সিদ্দিকীর সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলেন এবং ভারতে অবস্থান কাদের সিদ্দিকীর প্রতিরোধ বাহিনী সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন শেষে আশির দশকে শেষ দিকে দেশে ফিরে নিজ জেলা রাঙামাটিতে আসেন এবং ১৯৯১ সালের দেশে গনতন্ত্র যুগ শুরুর প্রথম নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এরপর ১৯৯৬ সালে, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি। মাঝে ২০০১ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। তবে ২০০৬ সালের বাতিল হয়ে যাওয়া নির্বাচন বাদে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই তিনিই নৌকা মাঝি হিসেবে হাল ধরে আছেন পার্বত্য এই জেলায়।