পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী কোমর তাঁত সম্ভাবনা থাকলেও নেই পৃষ্ঠপোষকতা

105

॥ রাঙামাটি রিপোর্ট ॥

পার্বত্য নারীদের কোমর তাঁতে বোনা চাদর বাংলাদেশের এক ঐতিহ্যবাহী কুটির শীল্প। সারাদেশেই এর চাহিদা যেমন ব্যাপক, তেমনি বিদেশেও এই চাদরের কদর সীমাহীন। কেউ রাঙামাটি বেড়াতে এলে পাহাড়ি কুটির শিল্পের তাঁতবস্ত্র তো অবশ্যই কেনেন, সাথে একটি শাল না হলেই নয়। তবে চাহিদার তুলনায় এই চাদরের উৎপাদন এখনও নিতান্তই হাতে গোনা পর্যায়ে। কারণ পাহাড়ের হস্তশিল্প নিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা নেই বললেই চলে। এই কাজ করে সময় পার করলে বিনিময়ে যে উপার্জন হয়, তাতে এর পিছনে দিন পার করলে চলে না। তাই পাহাড়ি নারীরা ঘর গেরস্থালীর কাজ সেরে যতটুকু সময় পান তখন তাঁত নিয়ে বসেন; মূলত নিজেদের পারিবারিক শালটি বুনে নিতে। এর মাঝেই হয়তো বাড়তি কিছু উপার্জনও হয়।

শীতের তীব্রতা বাড়লে নারীরা তখন আরো বেশি করে কোমর তাঁতে সময় ব্যয় করেন বাড়তি কিছু পাওয়ার আশায়। ‘কথায় আছে মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’। মাঘ মাস শুরু হতে না হতেই সারাদেশে শীত জেঁকে বসেছে। পাহাড়ি গ্রামগুলোতে এবার শীতের তীব্রতা যেন একটু বেশিই। তাই তারা এখন তাত নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে পাহাড়ি নারীদের মতামত হলো সারাদেশে এই চাদরের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে উদ্যোক্তা এবং পৃষ্ঠপোষকতা দাঁড়ালে এই শিল্প পাহাড়ের অর্থনীতিতে উল্লেখ যোগ্য ভ’মিকা রাখতে পারবে।

রাঙামাটির দূর্গম জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নের গবাছড়ি চাম্পাইপাড়ায় এমনি এক গ্রামীণ নারীকে কোমর তাতে ব্যস্ত দেখে ছবিটি ধারণ করেন ফ্রিল্যান্সিং ফটোগ্রাফার লীটন শীল। ছবিতে জ্যোৎ¯œা চাকমা উলের সুতা দিয়ে তার পরিবারের জন্য গরম চাদর বুনছেন। [ছবি লিটন শীল। ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ইং]