॥ ইকবাল হোসেন ॥
রাঙামাটির কালিন্দীপুর-হ্যাচারী-সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় নবনির্মিত সংযোগ সেতুটি পাল্টে দিচ্ছে রাঙামাটি শহরের দূর্গম এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষের জীবন ব্যবস্থা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই সংযোগ সেতুটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব সহসাই এই সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। ১২কোটি ৬২লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২২৬মিটার এবং প্রস্থ ৫.১মিটার।
এক সময় নৌকা কিংবা বোট মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হলেও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত নতুন এই সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১২কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সংযোগ সেতুটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলছেন, টেকনিক্যাল বিভিন্ন কারনে ব্রীজটি এখনো সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত করা না হলেও নিয়ম অনুযায়ী যোগাযোগের উপযোগি হলে খুব দ্রুতই তা উদ্বোধনের মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সংযোগ সেতুটি চালু হলে শহরের হাজারো মানুষের যোগযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা মানুষ তাদের চিকিৎসা সেবাও পাবে খুব সহজে এবং প্রসারিত হবে এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন। এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
যোগাযোগের কোন মাধ্যম না থাকায় একসময় রাঙ্গামাটি শহরের আসামবস্তী, রাঙ্গাপানি, পুলিশ লাইন সুখী নীলগঞ্জ, হ্যাচারী এলাকায় বসবাসরত হাজারো মানুষের মূল শহরে আসতে কমপক্ষে ৩০-৪০মিনিট লাগলেও বর্তমানে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নবনির্মিত সংযোগ সেতুর মাধ্যমে মাত্র কয়েক মিনিটেই মূল শহরে আসতে পারছেন সাধারন মানুষ। সেতু পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।
সেতুটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বর্তমানে নির্মাণ কাজের নিয়ম অনুযায়ী ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও শুরু হয়েছে সাধারন মানুষের যাতায়াত, চলছে ছোট খাট যানবাহন।