ভেদভেদীর নয় ভূমিহীন পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে

72

॥ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ॥

রাঙামাটি শহরের ভেদভেদি সিও অফিস এলাকায় ৯ পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কের মাঝে দিন কাটাচ্ছে। চরম উৎকন্ঠায় থাকা পরিবারগুলোর দাবী, তারা দীর্ঘ ৫ দশক ধরে সেখানে বসবাস করে আসছে। ভুক্তভূগীরা জানিয়েছে, ভেদভেদি সিও অফিস এলাকায় কোন প্রকার নোটিশ বা অবগত করানো ছাড়াই ৯ টি বসত বাড়ির সীমানা পরিমাপ করে আরসিসি খুঁটি স্থাপনের কারণে লোকজনের মাঝে উচ্ছেদ আতঙ্ক বিরাজ করছে। অথচ চরম আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় থাকা এই পরিবারগুলো ৫ দশক থেকে উল্লেখ্য এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। বসতি স্থাপনকারী ৯ পরিবারটির অনুকুলে সর্বসাকুল্যে জমির পরিমাণ হলো,
মো: নাসির উদ্দিন’র দখলে ২৬ ( ছাব্বিশ ) শতক, মিজানুর রহমান’র দখলে ০২ ( দুই ) শতক, মো: শামীম ইকবাল’র দখলে ০৩ (তিন) শতক, মো: শামসুল আলম’র দখলে ০২ ( দুই ) শতক, মাহবুবুল আলম’র দখলে ০২ শতক, আবুল হোসেন বাবুল’র দখলে ০৩ ( তিন ) শতক, লোকমান হোসেন’র দখলে ০৬ (ছয়) শতক, রবিউল ইসলাম -২ শতক ও মো: রবিউল -২শতক জায়গায় ৫০ বছর ধরে বসবাস করছে। উল্লেখ্য যে উপজেলা পরিষদের বিপরীতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের পাশের জেলা সার্ভার লাগোয়া জমির পরিমাণ কমবেশি ৪৮ শতক।

প্রসঙ্গত, হ্রদ বেষ্টিত রাঙামাটি শহরের ভুমি সংকট দীর্ঘদিনের। কোন কোন স্থানের সড়কের দু’পাশে সম্প্রসারণের প্রয়োজনে ২-৩ ফুট জায়গা পাওয়াও মুস্কিল তথা যেখানে ভুমি সংকট রয়েছে, সেখানে সমস্যা সমাধান করাই জরুরী। অথচ হচ্ছে উল্টোটা। শহরের আনাচে- কানাচে গড়ে ওঠা বস্তি ও আবাসিক এলাকা উচ্ছেদে মরিয়া হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা কাপ্তাই হ্রদ অবৈধ দখল মুক্ত করণ বা দখল রোধ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে পূঁজি করে হ্রদ-সংশ্লিষ্টতাহীন ভূমি নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে দিয়েছেন। এ যেন ঘর পোড়ায় আলু পুড়ে খাওয়ার মতো অবস্থা বলে মন্তব্য করেছে ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী মো: নাসির উদ্দীন বলনে, কয়েকটি তৃতীয় শ্রেণীর জায়গায় মানুষের বসবাসের পর উন্নয়ন সাধিত হলেই, নজর পড়ে প্রশাসনের। অথচ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাঙামাটি শহর বর্ধন বা সম্প্রসারণ সম্ভব। কিন্তু কর্তা ব্যক্তিদের সেই দিকে অগ্রসরের কোন প্রকার গরজ লক্ষ্য করা যায় না। যে কারনে শহরের বিভিন্ন অংশের গোপেগাপে গড়ে ওঠছে অপরিকল্পিত বস্তি। বাড়ছে দূষণ। জমির দখলে থাকা ৯ জনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুঁটি স্থাপন সংক্রান্তে কোন প্রকার নোটিশ করা হয়নি। কিন্তু পরিমাপ পরিচিহ্নিত করণসহ আরসিসি খুঁটি স্থাপন করেন। সেই কারণ বসতি স্থাপনকারীদের মাঝে উচ্ছেদ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে রাঙামাটি সদর উপজেলার ইউএনও নাজমা বিনতে আমিন মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, জমির মালিকানা উপজেলা পরিষদের। কেউ কারোর জমিতে বসবাস করলে মালিক হয়ে যায় না। আমরা জমির পরিমাপ ও পরিচিহ্নিত করেছি। উচ্ছেদের উদ্যোগ নিইনি।