॥ রাঙামাটি রিপোর্ট ॥
আজ অমর একুশ। সময়ের নৌকায় চড়ে আবারো ফিরে এসেছে একুশ। আজ সেই স্মৃতিময় দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলী নেত্রীসহ বাণী প্রদান করেছেন বিশিষ্টজনেরা। দেশের অন্যান্য স্থানের মত এবছরও তিন পার্বত্য জেলায় মহাসমারোহে অমর একুশে উদযাপন করা হচ্ছে। দিনটি যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন যেমন থেমে নেই; বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়ে তারা উদযাপন করছেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস; তেমনি বেসরকারিভাবেও চলছে উদযাপন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে জেলাপ্রশাসন আয়োজন করেছে দু’দিনের বই মেলা। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও রাজনৈতিক সংগঠন অমর একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১মিনিটে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শুরু হয়। শহীদ মিনার লোকে লোকারণ্য ছিল মধ্যরাত পর্যন্ত।
ভাষা চেতনায় উদ্বেলিত প্রত্যেকটি মানুষ গত কয়েকদিন ধরে প্রভাত ফেরীর মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য যেন অপেক্ষা করছিল। মাতৃভাষা বাংলার প্রতি অভ্যাগত ভাষা প্রেমীদের অন্তরঙ্গ শুভেচ্ছার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শহীদ স্মৃতি অমর রাখার প্রত্যয়ে আপনাদের এসব স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ একান্তই প্রত্যাশিত। কিন্তু আবেগের দ্যোতনায় যেন শৃঙ্খলা হারিয়ে না যায় সেদিকে তো লক্ষ্য রাখতেই হবে।
যারা শহীদ মিনারে যাবেন, তাদের লক্ষ রাখতে হবে, কোনক্রমেই শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে প্রবেশ করে শহীদদের অমর্যাদা করা যাবে না। সবাই যেন যার যার মতো করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার সুযোগ পায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে উলে¬খ করা যায় যে, প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একুশের কর্মসূচিতে কিংবা শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। আশা করি সবার সম্মিলিত প্রয়াসে শৃঙ্খলা সহকারেই এবারের একুশে ফেব্র“য়ারি উদযাপিত হবে। ভাষা শহীদদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জ্ঞাপন করতে হলে এর বিকল্প নেই। অমর একুশে ফেব্র“য়ারি তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দৈনিক রাঙামাটির সকল লেখক, পাঠক, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী সংবাদকর্মী, বিজ্ঞাপনদাতা ও এজেন্টকে রক্তিম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। আবারও শহীদ স্মৃতি অমর রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।