খাগড়াছড়িতে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৫ সন্ত্রাসী আটক

120

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি-ফটিকছড়ি সীমান্তে কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জনপদ দুইল্যাছড়ি ও বটতলীর গহীন অরণ্যে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোর রাতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ মগ লিবারেশন পার্টির ৫জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।

এ সময় সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে একে -৪৭ -০১টি, মর্টার-০৪টি, পয়েন্ট ২২ মি.মি. রাইফেল-০১টি, এম-১-০১টি, ইউনিফর্ম -৫জোড়া, চায়না পিস্তল -০১টি, এলজি শর্ট ব্যারেল -০১টি, এলজি এ্যামোঃ ৩৬ রাউন্ড, একে -৪৭ এ্যামো-০৭ রাউন্ড,এম-১ এ্যামোঃ-২৪ রাউন্ড, মোবাইল সেট- ০৬টি, ভারতীয় মুদ্রা -১১০ রুপি, ওয়াকিটকি -২টি, বাউন্ডার- ০৬টি, মাইন তৈরির সরঞ্জামাদি, ও কাঁচের বোতল -৩৭টিসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

গুইমারা রিজিয়নের একদল চৌকস সেনাবাহিনী সদস্যরা টানা ১০ ঘণ্টার অভিযানে সফল অভিযান চালায়। তবে আটককৃত মগ লিবারেশন পার্টির সন্ত্রাসীদের নাম, ঠিকানা (পরিচয়) দুপুর দেড়টা নাগাদ নিশ্চিত করতে পারেনি যৌথবাহিনী। মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ঐ এলাকায় তাদের আধিপত্যের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন লক্ষীছড়ি সেনা জোনের অধীনস্থ সিন্দুকছড়ি ও লক্ষীছড়ি জোনের অভিযোনে আটক হয় সন্ত্রাসীরা।

সূত্র জানায়, জেলার গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনের অধীনস্থ মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অনগ্রসর জনপদ দুইল্যাছড়ি, বটতলী গহীন অরণ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠির চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র অবস্থানের গোপন তথ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার ভোর সাড়ে ৩টার পর নির্জন জনপদে গুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি ও লক্ষ্মিছড়ি জোনের সেনাবাহিনী ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেন।

সকাল ১১টার পর নির্জনের একটি বসত ঘরে লুকিয়ে থাকা এবং চৌকির নিচে স্তুপ করে রাখা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সশস্ত্র সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টির ৫জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় আটক সন্ত্রাসী ও উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্পে আনা হয়। সেখানে সন্ত্রাসী ও উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের ছবি ও বিবরণ উপস্থাপন করা হলেও সন্ত্রাসীদের নাম, ঠিকানা নিশ্চিত করতে পারেনি যৌথবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা পিএসসিজি। এ বিষয়ে বিকেলে ফটিকছড়ি পুলিশ সন্ত্রাসীদের নাম, ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে গণমাধ্যমে জানাবেন বলে জানানো হয়।

ফটিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বটতলী এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্টির অবস্থানের খবরে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাসহ পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।