॥ ঢাকা ব্যুরো ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সকলের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। নবীন প্রবীণের অভিজ্ঞতা পারস্পিরিক বিনিময়ের মাধ্যমে মেধা বিকাশে সেতু বন্ধন রচনা করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ কীভাবে ভালো থাকবে, দেশ কীভাবে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় এমন চিন্তায় মগ্ন থকেন বলেই তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছেন। এই র্রপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে দৃর্বার গতিতে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমরা সবাই একটি পরিবার। এর সফলতা ও ব্যর্থতার ভাগীদার আমরা সবাই। সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছি বলেই উন্নয়ন হচ্ছে। ভালো কাজের জন্য প্রত্যেকেরই অবদান থাকে। সকল মন্ত্রণালয়ের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজের একটা যোগসূত্র আছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়ষক মন্ত্রণালয়ের চারজন কর্মকর্তার অবসরজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে এসময় বিদায় সংবর্ধিতদের উপর স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব (প্রশাসন) আলেয়া আক্তার, যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, অনুষ্ঠানের সঞ্চালক উপসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, সিনিয়র সহকারী সচিব মুন্না রাণী বিশ্বাস, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. দেলওয়ার হোসেন শরীফ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. নিয়াজ মোর্শেদ মিঠু ও অফিস সহকারী হাফছা আক্তার হেপী। কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানের স্মৃতিচারণ করে সংবর্ধিতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১), অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব জাহিদুল হক সরদার, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা খাতুন এবং অবসরপ্রাপ্ত সহকারী সচিব জনাব মো. হায়দার আলী মোল্লা। অনুষ্ঠানে অবসরজনিত সংবর্ধিতদের ফুলের শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে আমার সোনার ছেলে চাই। সেই সোনার ছেলে হলেন আপনারা। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের মেধাশ্রমের যে অবদান রয়েছে, তার কথা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভালো কাজ করার চর্চা করতে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন। তাহলেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম বলেন, কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি পর্যায়কে আমরা দায়িত্বের সাথে এনজয় করে থাকি। সচিব বলেন, কাজের মধ্যে আনন্দ আছে, তিক্ততা আছে, বেদনাও আছে। আবার প্রকৃতির নিয়মে নতুন কাজে আমরা আবারো অভ্যস্ত হয়ে যাই। সচিব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাজের প্রশংসা করেন এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।