॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার আওতাধীন রাঙামাটি পৌর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মিসভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাবীব আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা শাখার সি: সহ-সভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পিসিএনপি নেতা মো: নুরুজ্জামান, পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখা আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোস্তফা কামাল রাজু।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর শাখার সভাপতি হিসেবে পারভেজ মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবুর নাম ঘোষণা করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি মোঃ হাবীব আজম।
কর্মিসভা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতি ও বাঙালিদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাভোগী হিসেবে কয়েকটি উপজাতির জনসাধারণ সকল সময়ে দৃশ্যমানভাবে এগিয়ে আছে। নির্দিষ্ট করে বললে, উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে চাকমারা সবচেয়ে বেশী সুবিধাভোগী।
সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল সুবিধার সিংহভাগ চাকমারা ভোগ করে এবং তারা অন্যান্য উপজাতি এবং বাঙালিদেরকে পশ্চাৎপদতার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে রেখেছে। চাকুরীর ক্ষেত্রে জাতীয় ভিত্তিক স্তরে ৫% হারে কোটা বরাদ্দ রয়েছে উপজাতিদের জন্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও বাঙালিরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এত বৈষম্য আর বঞ্চনার পরও পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিরা অন্যান্য উপজাতিদের সাথে শান্তি পূর্ণভাবে সহাবস্থান বজায় রেখে বসবাস করছে। বাঙালিদের এ বঞ্চনা আর বৈষম্যের হাহাকার ও কান্না আমাদের দেশের তথাকথিত একচোখা ভাড়াটে সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীদের চোখে কখনই পড়ে না। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।






























