নানা আয়োজনে রাঙামাটির বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন

110

॥ আকাশ মনু ॥

বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় এবং নানা আয়োজনে রাঙামাটির বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈসাখি পূর্ণিমা) উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (৫মে ২৩) সকালে তবলছড়ির মিনিস্ট্রিয়াল ক্লাব মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: সুপ্রিয় বড়–য়া ফিতা কেটে র‌্যালির উদ্বোধন করেন। বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি তবলছড়ি থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আসামবস্তির বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় বিহারে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, সংঘদান, নানাবিধদান ও ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে সু-শৃঙ্খল ধর্ম। নিজেদেরকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারলে আত্মার সন্তুষ্টি ঘটবে।

বক্তারা আরও বলেন, প্রত্যেকেরই উচিত প্রাতিষ্টানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকেও গুরুত্ব দেওয়া। ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের অন্তরে মূল্যবোধ জাগ্রত করে। এতে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনে। পরে গৌতম বুদ্ধের আদর্শকে ধারণ ও লালন করা এবং বিশ্বের সকল প্রাণীর মঙ্গল কমনা করে

অনুষ্ঠানে বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত করুনা পাল থের’র সভাপতিত্বে এবং বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়–য়ার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি বড়–য়া জনকল্যাণ ও বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সনৎ কুমার বড়–য়া। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তপন কান্তি বড়–য়া, রাঙামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কল্যাণ মিত্র চৌধুরী, সংকর প্রসাদ বড়–য়া, সুকুমার বড়–য়া, যুগ্ম সম্পাদক বিধান বড়–য়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আশীষ বড়–য়া, উজ্জল কুমার বড়–য়া, উত্তম বড়–য়া, দীপক বড়–য়া, হারাধন মুৎসুদ্দীসহ উপাসক-উপসিকা, দায়ক-দায়িকা ও পূণ্যার্থীবৃন্দ। শেষ ১৬জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও ধর্মীয় সূত্রপাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।