অবশেষে কেটে গেছে বিভিষিকাময় পরিস্থিতি ॥ এখনও প্রস্তুত আছে প্রশাসন

92

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

সপ্তাখানেকের বেশি সময় ধরে, আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা এবং দেশের ভীত কাঁপিয়ে অবশেষে অনেকটা স্বাভাবিক ঝুাঁকুনি দিয়েই কক্সবাজার উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। রোববার (১৪ মে) ৬ টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দূর্বল হয়ে হড়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অফিস আরো জানায় “রোববার সন্ধ্যা ৬টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার পর তা দূর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিটুয়েতে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

এদিকে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় ঘুর্ণিঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে দিনভর থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এদিকে ঘুর্ণিঘড় পরবর্তী বর্ষণের আশঙ্কায় রাঙামাটির সকল প্রশাসন এবং সেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র। সরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে তাদের কর্মস্থলে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলাপ্রশাসক।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান, উপকূলীয় এলাকায় সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে। এসব এলাকায় এখনো বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত কমে যাবে। তবে সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

এর আগে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার দূর্যোগময় পরিস্থিতি থেকে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পরপর জরুরী সভা করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সর্বস্তরের সকল প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।