বিশাল আয়োজনে রাঙামাটিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

92

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

বিশাল গণজমায়েত ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার সময় ‘নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করার পরামর্শ দিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এম.পি বলেছেন, বিশাল একটি দলে মতভেদ থাকতেই পারে। তবে পারস্পরিক আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমে তা সমাধান করতে হয়। নিজেদের অভ্যন্তরীন সমস্যা বাইরে যাওয়ার সুযোগ না দেওয়াই উচিৎ। দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের এক থাকার পরামর্শ দিয়ে এমপি বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না’।

বুধবার (১৭ মে) বিকেলে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পূর্বে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্বতস্ফূর্তভাবে শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন এমপি প্রধানমন্ত্রীর সাহসের প্রশংসা করে বলেন, ‘পৃথিবীতে এমন রাষ্ট্রনায়ক কম আছে, যিনি ঘোষণা দিতে পেরেছেন, যারা সেংশন দিবে, তাদের থেকে আমরা কিছু কিনবো না। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছ থেকেই এমন সাহসি বক্তব্য বের হতে পারে।

পঁচাত্তরের নৃশংসতার স্মরণ করে সংসদের হুইপ আরো বলেন, ‘একজন শিশু শেখ রাসেলকে সেদিন তারা রেহাই দেয়নি। পুরো পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। কে এমন শোক সইতে পারে,কিন্তু যাকে বঙ্গবন্ধু নিজের মেয়ে মনে করতেন,সেই খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে তার মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করছে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা যখন দেশে এসে ৩২ নম্বরে তাঁর পরিবারের নৃশংসতা দেখার জন্য দৌঁড়ে গিয়েছিলেন,সেদিন জিয়া শেখ হাসিনকে তাঁর পিতার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি। অথচ খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ আদালতে জেল হওয়ার পরও মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁর সাজা স্থগিত করে তাঁকে বাসায় থেকে চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে বারবার আঘাত করা হয়েছে, কিন্তু তিনি আঘাতকে শক্তিতে রূপান্তর করে এগিয়ে গেছেন, সাথে দেশকেও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’

আওয়ামী লীগ নেতার দল নয়, আওয়ামীলীগ কর্মীর দল উল্লেখ করে এমপি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে কেউ রুখতে পারবে না। এমপি বলেন, পাহাড়ে অপরাধী-নিরাপদী অনেক মানুষের রক্ত ঝড়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় এসে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। শান্তি চুক্তি হলো শান্তির ফসল। পার্বত্য চট্টগ্রামকে যদি সুপরিকল্পনা ভাবে গড়ে তোলা যায় তাহলে এ অঞ্চল পর্যটন সমৃদ্ধ নগরী গড়ে উঠবে।
রাঙামাটি জেলা আওয়াম ীলীগের সভাপতি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানসহ দলটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে সঞ্চালনা করেন রাঙাৃাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো.মুছা মাতব্বর ও প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান। পরে মনোজ্ঞ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।