॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
যে প্রকল্প গ্রহণ করলে পাহাড়ের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের ভাগ্য দ্রুত পরিবর্তন হবে এমন প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিবো। পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা এবং যোগযোগ বিশেষত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাছাই করবো।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ‘পরিচালনা বোর্ডের চলতি অর্থ বছরের ৪র্থ সভায় সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এই নির্দেশ দেন। সোমবার (৩০ মে) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
সভার শুরুতে বোর্ডের সদস্য-প্রশাসন মো.জসীম উদ্দিন বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে বোর্ডের আওতাধীন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ ও নির্বাহী প্রকৌশলীগণ কোড নং ২২০০১১০০, ২২০০০৯০০ এর আওতাধীন প্রকল্প/স্কিম এবং বোর্ডের আওতাধীন পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ ২৫ মে ২০২৩খ্রি.পর্যন্ত সময়ের সার্বিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
সভায় বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, রাঙামাটির পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, সদস্য প্রশাসন ও সদস্য পরিকল্পনা মো.জসীম উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বোর্ডের খাগড়াছড়ি ইউনিট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুজিবুল আলম, বোর্ডের উপ-পরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, সিএমইউ জেনারেল ম্যানেজার পিন্টু চাকমা, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কল্যানময় চাকমা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এয়াছিনুল হক, রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, বাজেট ও অডিট অফিসার মো. নুরুজ্জামান, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো,তথ্য কর্মকর্তা মিজ্ ডজী ত্রিপুরাসহ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তিন পার্বত্য জেলার হেডম্যান কার্যালয়ের গৃহীত কার্যক্রমের অগ্রগতি, আইসিটি প্রকল্পের অগ্রগতি, টেকসই সামাজি সেবা প্রদান প্রকল্পের অগ্রগতি, কৃষি ভিত্তিক তুলাচাষ বৃদ্ধি, সুগারক্রপ চাষাবাদ, কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ, রাঙ্গামাটি সেচ ড্রেইন নির্মাণ, খাগড়াছড়ি বিভিন্ন উপজেলার সেচ ড্রেইন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প এবং খাগড়াছড়ি সদর মাস্টার ড্রেইন নির্মাণ, বান্দরবান পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভা জলাবদ্ধতা দূরীকরণে মাস্টার ড্রেইন নির্মাণ, সোলার হোম সিস্টেম বিতরণের সার্বিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে প্রকল্প পরিচালকগণ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।