॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটি শহরে আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাসের গুদাম অপসারণ করে সর্বসাধারণের জানমাল রক্ষার্থে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছে টিএন্ডটি এলাকার সচেতন মানুষ। শনিবার (৫ জুন) সকালে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবাসিক এলাকায় এমন বিস্ফোরক দ্রব্যের দোকানের কারণে টিএন্ডটি এলাকার মানুষ সবসময় আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিাপাত করছে। তারা উদাহরন টেনে বলেন, গত ৩১মে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই এলাকায় হঠাৎ করে আগুন লাগে এবং ৫টি দোকান পুুড়ে যায়। এলাকাবাসী গ্যাসের দোকানের পাশে সমিলিতভাবে অবস্থান নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। সকলেই তখন চোখেমুখে অন্ধকার দেখছিল, কারণ সে সময়ও গুদামে কয়েক হাজার গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ ছিল। গ্যাসের গুদামে একবার আগুন পৌঁছে গেলে তা রাঙামাটি বাসির জন্য বিভিষিকাময় পরিস্থিতির উদ্ভব হতো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মৃত এনামুল হকের মালিকানাধীন তিনটি দোকান এবং জিন্নাত আলীর ৪টি দোকানসহ মোট ৯টি দোকান ভাড়া নিয়ে জসীম উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ী আবাসিক এলাকার পাশে দীর্ঘদিন যাবত বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রি করছে। এলাকাবাসী এ নিয়ে কিছু বললে সে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে চুপ করিয়ে রাখে। জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকা থেকে গ্যাসের দোকান ও গুদাম সরানো না হলে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি অবিলম্বে ওই এলাকা থেকে গ্যাসের গুদামটি অপসারণে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন মো. হাসান মুরাদ, মনোয়ারা বেগম, সো. আবছার উদ্দিন, মো. আবু বক্কর, মো. খোরশেদ আলম ও মো. রবিউলসহ স্থানীয় অন্যান্য এলাকাবাসী। তারা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীনের বিষয়ে আত্মীয়দের ভূমি অবৈধভাবে কুক্ষিগত করে রাখার বিষয়েও অভিযোগ উত্থাপন করেন।
এদিকে এ বিষয়ে গ্যাসের দোকের মালিক ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, গ্যাসের দোকানের বিরুদ্ধে সম্মেলন করা হলেও মূলত এটা ভূমি বিরোধের জেরে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ আমি ওই এলাকায় দীর্ঘ ২০বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছি, কখনও কোনো অসুবিধা হয়নি। এলাকাবাসীর নামে সংবাদ সম্মেলন করা ব্যক্তিরা আমার নিকট আত্মীয়। মূলত মৃত রাজা মিয়া তালুকদারের ভূমি বন্টন বিষয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ বিরোধের বিষয়টি আঁড়াল করার জন্যই গ্যাসের গুদামের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। তিনি বলেন, আমি বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সসহ সব নিয়ম মেনেই নিরাপত্তার সাথে ব্যবসা করছি।