পাহাড়ে ইক্ষু, সাথী ফসল, গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

166

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

পাহাড়ে কৃষির উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের গৃহীত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ইক্ষু চাষ প্রকল্পটি একটি সফল প্রকল্প হিসেবে সুধী সমাজে সমাদৃত হয়েছে। কারণ পাহাড়ের মাটি আঁখ চাষের জন্য যেমন বেশ উপযোগী, তেমনি আঁখের পাশেই সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষের সুযোগ থাকায় চাষিরা ইক্ষু চাষের প্রতি প্রতিনিয়ত ঝুঁকছে। বিশেষ করে পাহাড়ের কৃষকদের তামাক থেকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সাথী ফসলসহ ইক্ষু চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ইক্ষু, সাথী ফসল, গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এই মতামত ব্যক্ত করেন বক্তারা। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী। এতে বিশেষ ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল।

কর্মশালায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা, উন্নয়ন কর্মী ও আঁখ চাষিরা বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে প্রকল্প ধারণাপত্রে বলা হয়, পাহাড়ের কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন গতিশীল করার লক্ষ্যে উন্নয়ন বোর্ড চার বছর মেয়াদী পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্প” নামে এই প্রকল্পটি গ্রহন করে। ইতোমধ্যে কৃষকদের মাঝে প্রকল্পের সহায়তা ইক্ষু চাষের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় ইক্ষু সাথী ফসল চাষের পরিধি বাড়ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গুড় তৈরির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। হাইড্রোজমুক্ত গুড় উৎপাদনের জন্য ৬,২৪০ জন চাষীককে প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় পতিত ও আবাদযোগ্য অনাবাদী জমিকে কাজে লাগিয়ে লাগানোর ক্ষেত্রে ইক্ষু চাষের উপযোগীতা ইতোমধ্যেই প্রমাণীত হয়েছে। কারণ ইক্ষু চাষে সেচ কম লাগে এবং পাহাড়ের মাটি এই চাষের জন্য উপযোগী। চলমান ইক্ষ ক্ষেতগুলোতে এক একটি আঁখ ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, কৃষি পার্বত্য অঞ্চলের আদি পেশা ও জীবিকার প্রধান উৎস। কিন্তু কৃষি জমির পরিমাণ কম থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো সময়ের দাবি। উন্নয়ন বোর্ড সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে।