॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিলাম শান্তিতে বসবাস করার জন্য। খান সেনাদের কাছ থেকে জীবন বাঁচাতে পারলেও এখন স্বজনদের হুমকিতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তিনি তার জীবনের নিরাপত্তা এবং পৈত্রিক সম্পত্তির বৈধ হক ফিরে পেতে সরকারের উচ্চ মহলের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
সোমবার (১০ জুলাই) রাঙামাটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সম্মেলনে এই আবেদন জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিজের পৈত্রিক ভিটেমাটি রক্ষা করতে গিয়ে এখন প্রাণের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ও তার পরিবার। কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা তার পিতার রেখে যাওয়া বৈধ ভূ-সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে সেই ১৯৭৭ সাল থেকে একের পর এক মামলার শিকার হয়ে এখন পরিশ্রান্ত। লড়াই করতে করতে তার একটি চোখ এখন অকেজো। সকল মামলার রায় তার পক্ষে আসার পরও তার চাচাতো এবং জৈঠাতো ভাইদের অব্যাহত হুমকিতে তিনি ভীত সন্ত্রস্ত জীবন যাপন করছেন। এমনকি দখল নিতে পারেননি আদালতের নির্দেশিত তার বৈধ ভূমিরও।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা জানান, ১৯৫৮ সালে তার পিতার মৃত্যুর সময় তিনি ছোট শিশু ছিলেন। এই সুযোগ তার চাচা রব্বত আলী ও জেঠা আমীর আলী প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এবং তথ্য গোপন করে তাদের ভাইয়ের কোনো ওয়ারিশ নেই মর্মে ভূয়া কাগজ সৃজনের মাধ্যমে তৎকালীন হেডম্যান থোয়াইপ্রু চৌধুরীর সহায়তায় সকল জমাজিম নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেয়। বড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধ নুরুল ইসলাম একদিন বুঝতে পারেন চাচা জেঠার প্রতারণায় তারা কপর্দকশূণ্য। এর পরেই তিনি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের সংগ্রামে নামেন। দীর্ঘ ৬৬ বছরের লড়াইয়ে তিনি বারবার আদালতের রায় পেয়েছেন বটে কিন্তু অধিকার ফিরে পাননি। উল্টা প্রতারকরা প্রতিনিয়ত তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। স্বাধীন দেশে তিনি স্বাধীনভাবে বাঁচার আকুতি জানাতেই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোবারক আলী।