॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১(এক) দিনব্যাপী গাছ রোপন ও পরিচর্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচি শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা। প্রকল্পের উপকারভোগীদের নিয়ে সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বান্দরবান ইউনিট কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন যে, তিনি তাঁর কর্মময় জীবনে ৪৩ বছর যাবত দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্তব্য পালনের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের জন্য তেমন অবদান রাখতে পারেননি। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের সুযোগ দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিরি আরও বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রী উন্নয়নের জন্য কৃষি বান্ধব সরকারকে সহযোগিতা করেন, কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সরকার দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন যে, কফি ও কাজুবাদাম আন্তর্জাতিকভাবে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে প্রচুর কফি উৎপাদন করছে এবং মান সম্মত কফি ও কাজুবাদাম উৎপাদন করছে। এসব দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে ভালো কৃষক হয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক কফি ও কাজুবাদাম চাষ করে উৎপাদন করতে হবে।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড উন্নয়নমূলক অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থিক অবস্থা ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বোর্ডকে কফি ও কাজুবাদাম চাষের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। কফি ও কাজুবাদাম চাষে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি উপকারভোগী কৃষকদের কফি ও কাজুবাদাম গাছ নিয়মিত পরিচর্যা করার বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বান্দরবান সদরের ৪০ জন এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪০জন উপকারভোগী কৃষকগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে উপকারভোগীদের মাঝে এককালিন আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়।