রাঙামাটিতে হলো দেশের প্রথম লাভ পয়েন্ট

564

p...3

 

আলমগীর মানিক , ১৬ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি :  রাঙামাটি বেড়াতে এসে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে মারা যাওয়া সেই বিখ্যাত দম্পতি আলাউদ্দিন পাটোয়ারী ও আইরীন সুলতানা লিমা’সহ পৃথিবীর সব ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাঙামাটিতে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম লাভ পয়েন্ট।

শনিবার সকালে রাঙামাটি শহরের পলওয়েল পার্কে এই লাভ পয়েন্টের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি। এ সময় রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, পুলিশ সুপার সাঈদ তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোস্তফা জামান, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেনসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লাভ পয়েন্টের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনশেষে সচিব বলেন, রাঙামাটি জেলা পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় জায়গা। রাঙামাটির বিভিন্ন স্পটের সাথে আজ থেকে জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে আরেকটি স্টপ যুক্ত হলো লাভ পয়েন্ট। ভালোবাসার প্রতীক হিসেব এটাকে করা হয়েছে। পর্যটকরা যখন শুনবে এখানে একটি লাভ পয়েন্ট করা হয়েছে তখন এটাকে দেখতে আরো আগ্রহী হবে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, লাভ পয়েন্ট নাম করনের সত্যিকারের ইতিহাসকে প্রচার করা আপনাদের দায়িত্ব। আগামীতে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন বিকাশে আরো বিভিন্ন পদক্ষেপ মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

স্মরণযোগ্য যে, ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ বুধবার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমণে গিয়ে আকষ্মিক ঘুর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে আমেরিকা প্রবাসী আলাউদ্দিন পাটোয়ারী ও তার স্ত্রী আইরীন সুলতানা লিমা কাপ্তাই হ্রদের পলওয়েল পার্কের এলাকায় পানিতে তলিয়ে যান। ঘটনার পর পরই কাপ্তাই নৌ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুই দিন যাবত তাদের উদ্ধারে ব্যাপক তল্লাশি করলেও তাদের সন্ধান পায়নি। ঘটনার তিনদিন পর ২২ মার্চ সকালে নিখোঁজ দম্পতির লাশ ঐ স্থানেই গভির আলিঙ্গনে জড়ানো অবস্থায় ভেসে উঠে। ঘটনাটি দেশ বেপি প্রেমের নিদর্শণ হিসেবে আলোচিত হয়। সেই দর্শণ থেকে জাতীয় ভাবে ওই লাভপয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান