পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬ স্পীলওয়ে খুলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে পানি

190

॥ সৌরভ দে ॥

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ বাঁধের উপর চাপ কমাতে অবশেষে হ্রদের পানি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া শুরু হয়। বর্তমানে পানি বিদ্যুৎ বাঁধের ১৬টি স্পীলওয়ে ৬ ইঞ্চি করে তুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রতিদিন বাড়ছে। পানির পরিমাণ বাড়তে থাকায় কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ বাঁধের উপরও চাপ ক্রমেই বাড়ছে, বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৭.৫৪ এমএসএল বা মীন সি লেভেল। অথচ রুলকার্ভ অনুসারে বছরের এই সময়ে হ্রদে পানি ধরে রাখার কথা ১০১.৩০ এমএসএল।

প্রয়োজনের চেয়ে পানির উচ্চতা ৬ ফুট বেশী থাকায় পানির মওজুদ কমানোর জন্য আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ১৬টি স্পীল ওয়ে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দিয়েছি। তবে কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারন ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।

কর্ণফুলি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, হ্রদে পর্যাপ্ত পানি মওজুদ থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। পানির ¯্রােতে টারবাইন ঘুরিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে মোট ১৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে।

উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সোমবার ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৬ মেগাওয়াট, ২ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৫ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ২৮মেগাওয়াট, ৪ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট এবং ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এই কেন্দ্রের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।

১৬ টি স্পীলওয়ে দিয়ে ৯ হাজার কিউসেক অতিরিক্ত পানি নিস্কাশন ছাড়াও ৫ টি ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় হ্রদ থেকে প্রতি সেকেন্ডে আরোও ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। বর্তমানে নিষ্কাশিত মোট ৩৪ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে পড়ছে।