ডিজিটাল মামলা থেকে রাঙামাটির পাঁচ সাংবাদিকসহ ৮জনের মুক্তি

156

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন দৈনিক গিরিদর্পণ ও দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার দুই সম্পাদকসহ পাঁচ সাংবাদিক। একই মামলায় বিবাদী করা আরো তিন সাধারণ নাগরিকও একই সাথে রেহাই পেয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনের নিউজ প্রচার করায় এই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করা হয়েছিল।

কে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মামলার অভিযোগ গঠনের উপর শুনানী শেষে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির অভিযুক্তদের অব্যহতি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলায় অব্যহতি পাওয়া সাংবাদিক পক্ষের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, সাংবাদিকদের কাজ হল তথ্য-উপাথ্যেও মাধ্যমে সংবাদ তুলে ধরা। এই সাংবাদিকরাও তাই করেছেন। বাদীর আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার চার্জ গঠনের মতো তেমন কোনো উপাদান বিদ্যমান নেই। সেই বিষয়টিই আজ (২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার) আমরা আদালতে তুলে ধরেছি। বিজ্ঞ আদালতে শুনানীতে সন্তুষ্ট হয়ে ৮জন বিবাদীর সকলকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

অব্যহিত পাওয়া সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক রাঙামাটি সম্পাদক ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাঙামাটির প্রবীণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ পরিত্রকার সম্পাদক হাজী এ.এক.এম মকছুদ আহমেদ, এশিয়ান টিভি ও দৈনিক মানবজমিন এর রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি আলমগীর মানিক, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি শাহ আলম এবং দৈনিক রাঙামাটির স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হৃদয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ প্রকাশের জেরধরে ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন রাঙামাটির জনৈক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। এতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজক মো. ইব্রাহীম চৌধুরী ও নিগার সুলতানা দম্পতিসহ ওই পাঁচ সাংবাদিককে বিবাদী করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে জামিন লাভ করেন বিবাদীরা। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৪ মার্চ ২০২৩ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠনের নির্ধারিত দিন ছিল। এ সময় উভয় পক্ষের আইনজীবী তাদের নিজ নিজ ক্লায়েন্টের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনার পর আদালত সন্তুষ্ট হয়ে বিবাদীদের খালাস প্রদান করেন।