॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তাদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) আওতায় বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্তি রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এসএম ফেরদৌস ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন কর্মসূচির ফোকাল পার্সন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা।
জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, পুলিশের প্রতিনিধি একজন এএসপি, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভার শুরুতে জেলা তথ্য কর্মকর্তা স্মার্ট বাংলাদেশ বিণির্মান অভিযাত্রার বিভিন্ন দিক, বাস্তবায়নের কৌশল এবং সুবিধা চ্যালেঞ্জসমূহের উপর একপি পাওয়ার পয়েন্ট পেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় বক্তাগণ স্মার্ট বাংলাদেশ বিণির্মাণে রাঙামাটি জেলাই ইন্টারনেট কানেকটিভিটি আরো গতিময় করার উপর জোর দিয়ে বলেন, প্রযুক্তিগত দ্রুত অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক আন্তঃসংযোগের যুগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ধারণাটি ইতোমধ্যেই বোদ্ধা মহলের উল্লেখযোগ্য মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। স্মার্ট বলতে, নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক এবং সময়সীমার সংক্ষিপ্ত রূপ বোঝায় যা একটি জাতি এবং এর নাগরিকদের উন্নতির জন্য প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে।
বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার দেশ যা একটি স্মার্ট দেশ হওয়ার জন্য একটি রূপান্তরমূলক সমাজব্যবস্থার দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এই যাত্রা, চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ থাকলেও বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে যা বাংলাদেশিদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করতে পারবে।
একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সুফল বহুমুখী এবং সুদূরপ্রসারী। এই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্য। স্মার্ট টেকনোলজির একীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ জটিল সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবহন এবং শাসন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে সক্ষম হবে।






























