॥ বিলাইছড়ি প্রতিনিধি ॥
বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়থলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতোমং মারমা দূর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। বিলাইছড়ি থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২য় পর্য়ায় নিজ ইউনিয়নের ভোট কার্যক্রম শেষে আনুমানিক রাত ১১:১৫ টার সময় ৫ নং ওয়ার্ডের বড়থলী মারমা পাড়ার তার চাচার বাড়ির উঠানে অবস্থানকালে হঠাৎ দূর্বৃত্তরা তার হাতে এবং পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
গুলির শব্দ শুনে বড়থলী আর্মি ক্যাম্পের সেনাবাহিনী ও নির্বাচনে যাওয়া পুলিশ সদস্যগণ তাকে উদ্বার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় স্থানীয় লোকজন কাঁধে করে তাকে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বান্দরবন জেলা সদর হাসপাতালে রেপার করে। তবে বর্তমানে তিনি আশঙ্খামুক্ত রয়েছে বলে জানা যায়।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আকতার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি তার চাচার বাড়ির উঠানে অবস্থানকালে আনুমানিক রাত ১১:১৫ টার সময় দূর্বৃত্তরা তাকে গাদা বন্ধুক দিয়ে হাতে এবং পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রুমা থেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেপার করা হয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্য়ন্ত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রামে নেওয়া হতে পারে। রিপোর্ট লেখা পর্য়ন্ত তিনি সুস্থ রয়েছে বলে জানা যায়। তিনি আরও জানান, ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় ঠিকভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা। নির্বাচনের কাজে অবস্থান করা পুলিশ ফোর্সকে ঘটনার তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা রিপোর্ট করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
বেসরকারিভাবে বিজয়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা জানান, মধ্যরাতে আমরা চেয়ারম্যান আতোমং মারমার উপর হামলার খবর পেয়েছি। ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা জানা যাচ্ছেনা। কারণ তিনি কথা বলতে পারছেনা। শুধু একটু করে ফোনে বলতে পেরেছে স্যার, আমি মারা যায় নাকি বেচেঁ থাকি আশীর্বাদ করবেন। পরে তাকে ফোন করে আর পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ ঘটনাটি ঘটাতে পারে বলে জানান।