নানা অনিশ্চয়তা পেরিয়ে অবশেষে এ মওসুমে লংগদুতে বোরোর বাম্পার ফলন

88

॥ মো. আবদুর রহিম ॥

লংগদুতে শেষ পর্যন্ত এ মওসুমের বোরো চাষে সফলতা পেয়েছে চাষিরা। প্রথম দিকে বৈরী আবহাওয়া থাকলেও শেষ পর্যন্ত কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। মৌসুমের মাঝামাঝি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধান ব্লাস্টে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আগাম ধান আবাদকারী কৃষকগণ আর্থিকভাবে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হন। তবে শেষ দিকে এসে কয়েক দফা বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং অনুকুল পরিবেশ বিরাজ করায় শেষ পর্যন্ত ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

লংগদু উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা য্ায়,লংগদু উপজেলায় এবার ১৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছেএবং আবাদী জমিতে প্রায় ১২০০০ মে:টন ধান উতপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষি অফিস সুত্রে ১৮৫০ হেক্টর জমিনে বোরো আবাদের কথা বলা হলেও কাপ্তাই লেকের পানি কমে যাওয়ায় উপজেলার অনেক জায়গায় বিশেষ করে ফোরের মুখ থেকে শুরু করে বারবুনিয়ার কাছাকাছি এবং প্রায় কাট্রলি বিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত অতিরিক্ত প্রায় ৭০০ হেক্টর ফ্রীজল্যান্ডে ও বোরো আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আবাদকৃত ফ্রীজল্যান্ডেও ৪৫০০ মে;টন খাদ্যশষ্য উতপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এবার লংগদু উপজেলায প্রায় ১৭০০০ মে:টন খাদ্যশষ্য উতপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইতিমধ্যে লংগদু উপজেলায় প্রায় ৪০% ধান কাটা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগামী ১৪/১৫ দিনের মধ্যে সকল ধান আবাদীরা ঘরে তুলতে সক্ষম হবে।

সব মিলিযে লংগদু উপজেলার কৃষকগণ তাদের উতপাদিত ফসলের উপযুক্ত বাজার মুল্য পেলে অনেকেই লাভবান হবেন এবং আগামীতে খাদ্য উতপাদনে আরো আগ্রহী হবেন। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ খাদ্য উতপাদন এবং কৃষকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে যথাযথ বাজার মনিটরিং করলে কৃষকগণ উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায।