পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে : আনু মুহাম্মদের

20

ঢাকা ব্যুরো অফিস : ৪ অক্টোবর, ২০২৪

স্টাফরিপোর্ট : পাহাড় দখল করে পুঁজিবাদে রূপান্তর হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড় দখলকারীদের তালিকা প্রকাশ করতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। আজ শুক্রবাদ (৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) আয়োজি পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম এবং জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে আমি বলতে চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান করার ক্ষমতা আপনাদের কাছে নেই সেটা আমরা বুঝি। কিন্তু অনেক কিছুই করতে পারেন। তার মধ্যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো কাদের দখলে আছে সেগুলো প্রকাশ করেন। পাহাড়গুলো কাদের কাছে ইজারাই আছে? যে সকল ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, কিংবা সামরিক, বেসামরিক, অবসরপ্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তি, এমপি-মন্ত্রী, কাদের কাদের নামে পাহাড় আছে। পাহাড়গুলো কারা দখল করে আছে তাদের তালিকা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড় নষ্ট করে পাঁচ তারকা হোটেল বানানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওখানে একটা পুঁজিবাদের রূপান্তর হয়েছে যার মধ্য দিয়ে বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে সেনা শাসনের মাধ্যমে। কারণ সেনা শাসন থাকলে খবরা-খবর বাইরে যাচ্ছে না। কে কোনটা দখল করলো তার কোনো জবাবদিহিতা নেই, স্বচ্ছতা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন বরাদ্দ, উন্নয়ন কর্মসূচি এটার সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ জবাবদিহি চাই। অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্নীতির তথ্যের জন্য সরকার একটা শ্বেতপত্র কমিটি করেছেন। সেই শ্বেতপত্র কমিটির মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কী কী বরাদ্দ গেলো, কী কী কর্মসূচি গেলো, সেগুলো কীভাবে আছে, কীভাবে ব্যয় হয়েছে সেটা জানার জন্য স্বেতপত্র কমিটি চাই। এগুলো অন্তরবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

এছাড়া, পর্বত্য এলাকায় গণহত্যার বিচার হয়নি, সেনা শাসন প্রত্যাহার করা, ভূমি সমস্যার সমাধান করা,সাংবিধানিক স্বীকৃতি হয়নি। স্যাটেলার শব্দ নিয়ে অনেকের মধ্যে মানসিক আপত্তি আছে। এটা ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে স্যাটেলার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তার আগে যে বাঙালিরা সেখানে যায় নাই তা না। আগে যেসব বাঙালি গেছে তাদেরকে স্যাটেলার বলা হয় না। তাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সহ-অবস্থান করে। সমস্যাটা হলো যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো অন্য জাতিসত্তাকে সংখ্যালঘু করতে হবে এবং বাঙালিকে সংখ্যাগুরু করতে হবে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমার সঞ্চালনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফয়জুল হাকিম লালা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, চিকিৎসক হারুনুর রশিদ প্রমূখ বৈঠকে বক্তব্য দেন।

আপলোড : শামিমুল আহসান-
ঢাকা ব্যুরো প্রধান, দৈনিক রাঙামাটি