॥ রাঙামাটি রিপোর্ট ॥
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে একজন মেধাবী ও যোগ্য ভিসি পেলো রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)। এর আগে গত পাঁচমাস এ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা অনিশ্চয়তা এবং ধু¤্রজালে এক চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল- পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের এই একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। নতুন ভিসির ব্যক্তিগত প্রোফাইল এবং তার অধ্যাপনা জীবনের ট্র্যাক রেকর্ডসহ দায়িত্বশীল পদে তার সুনাম পর্যালোচনা করে আশায় বুক বেঁধেছে রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলার সরচেতন মহল, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা; উচ্ছাস প্রকাশ করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরাও।
রাবিপ্রবি’র নতুন উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান। তিনি এতদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স এর ডিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত স্পষ্টভাষি এবং সাহসী এই অধ্যাপক মূলত ডিপার্টমেন্ট অব বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজির একজন প্রফেসর। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতিও ছিলেন।
এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নানা ষড়যন্ত্র ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। সে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ২০১৪ সালে একপর্যায়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এর পাঠদান শুরু হলেও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। প্রথম নিয়োগ পাওয়া ভিসি প্রয়াত প্রদানন্দ চাকমা সাহসিকতার সাথে বিশ্ববিদ্যলয়টির কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে গেলেও এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়ীকরণ এবং নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, তিনি তার সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে ১২৭ জনকে নিয়োগ প্রদান করতে গিয়ে ৯২% পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষকে নিয়োগ দিয়ে একে একটি উপজাতীয় ক্লাবে পরিণত করেন। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পথে তুমুল বাধা ও বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধি আন্দোলনে মূল নেতৃত্ব দেন পাহাড়িদের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো এবং বেশিরভাগ পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ। তারপরও নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর চলার পথ সাবলীল রাখতে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে চুপচাপ থাকে রাঙামাটির শিক্ষানুরাগী মহল। কিন্তু ভিসি প্রদানেন্দু অবসরে যাওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন একজন বাঙালি সম্প্রদায়ের উপাচার্য নিয়োগ পান, তখন থেকেই শুরু হয় নতুন মেরুকরণের নানা পরিকল্পনা। ভিসি ড. সেলিনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তার আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রাবিপ্রবিতে প্রেভিসি হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক কাঞ্চন চাকমা। ভিসি-প্রোভিসি- রেজিস্টার নিয়োগ পরিপূর্ণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির চলার পথ আরো সাবলীল হওয়ার কথা থাকলেও দুঃখজনকভাবে এর পরেই শুরু হয় আরো অনিশ্চয়তা। প্রেভিসি কাঞ্চন চাকমা ব্যক্তিগত জীবনে একজন সজ্জন ও যোগ্য শিক্ষক হলেও তাকে শিখন্ডি হিসেবে দাঁড় করিয়ে একটি মহল সাম্প্রদায়িক তৎপরতায় মেতে উঠে। শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে তৈরি হয় দলাদলি। ভাগ্যচক্রে এর মধ্যেই আগস্টে সরকার পতনের পর মহলটি কাঞ্চন চাকমাকে ভিসি করার মিশন নিয়ে মাঠে নামে। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকেরা সরাসরি মাঠে নামলে, ছাত্ররা দাবি তোলে পদত্যাগ করলে ভিসি-প্রোভিসি উভয়কে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ তারা দু’জনই বিগত সরকারের দোসর। এক পর্যায়ে সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি কাঞ্চন চাকমাও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পদত্যাগ করেন ভিসি সেলিনাও।
সরকার পতনের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি প্রোভিসি নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে গেলেও রাঙামাটি পড়ে যায় আঞ্চলিক রাজনীতির বেড়াজালে। শুরু হয় অনিশ্চয়তা।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য তিন জেলায় কোনো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকার সুবাদে ২০০১ সালে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার রাঙামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১’ নামে একটি আইন পাশ করে। কিন্তু ভূমি নির্ধারণ করতে না পারার কারণে ওই সরকার আর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তবে ২০০১ সালের সেই আইন বলেই এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে রাঙামাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমি অধিগ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। একই সময়ে রাঙামাটিতে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও চুড়ান্ত করে তৎকালীন সরকার। কিন্তু বাঁধ সাধে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। তারা পাহাড়ে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না করার জন্য তুমুল আন্দোলন গড়ে তুললে এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতিষ্ঠা এক চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে।
অবশ্য সরকারের দৃঢ়তায় ২০১৪ সালে দুটি প্রতষ্ঠানই যাত্রা শুরু করলেও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনের দিন পাহাড়িদের আন্দোলনের মুখে রাঙামাটিতে সংঘটিত হয় স্মরণকালের এক ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। পাহাড়িদের গুলিতে মনির নামে নানিয়ারচরের এক যুবক নিহত হয়। যে হত্যার কোনো বিচার আজও অনুষ্ঠিত হয়নি। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামাতে রাঙামাটিতে প্রথমে ১৪৪ ধারা এবং এক পর্যায়ে কারফিউ জারি করা হয়। সেই প্রথম তিনদিনের জন্য কারফিউ দেখে রাঙামাটির মানুষ। এক পর্যায়ে শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাকার্যক্রম চালু চালু হয় রাবিপ্রবির। ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঠদান শুরু হলেও সাম্প্রদায়িকতার নখরাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে আছে এর চলার পথ। তারপরও ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্থায়ীী ক্যাম্পাসে যায় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ছাত্র জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর ভিসি প্রোভিসি পদত্যাগ করলে আবারও অনিশ্চয়তায় পড়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন। পাহাড়ি একটি গোষ্ঠী এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে একজন উপজাতীয় ভিসি পাওয়ার দাবিতে জোরেশোরে তদবিরে নামে। তবে ভিসি হওয়ার মতো কোনো যোগ্যপ্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না। যদিও মহল বিশেষের এই অপতৎপরতার সাথে শিক্ষিত সচেতন পাহাড়ি সমাজের বেশিরভাগ মানুষের তেমন কোনো সমর্থন ছিল না। জেলার পাহাড়ি বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা না করে, তাকে তার মতই চলতে দেওয়া বাঞ্ছনীয়। যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলেও পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের সম্প্রদায় থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে অনঢ় থাকে এবং পার্বত্য উপদেষ্টার দফতরসহ শিক্ষা উপদেষ্টা এমনকি তারা প্রধান উপদেষ্টার দফতর পর্যন্ত ধর্ণা দিয়ে যেনতেনভাবে একজন পাহাড়ি শিক্ষককে উপচার্য হিসেবে পাওয়ার তদবির চালাতে থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়।
দীর্ঘ ৫ মাস ধরে অচলাবস্থায় পড়া রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শেষ পর্যন্ত ভিসি নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়। শিক্ষা জীবনের অনিশ্চয়তা কাটাতে অন্তবর্তী সরকারের সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবিতে গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করে তারা, পরে এই আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটে রাঙামাটি শহর পর্যন্ত। বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনসহ রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর শিক্ষার্থীরাও এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে।
৬ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা শিক্ষার্থীরা রাঙামাটি শহরের ব্যস্ততম বনরূপা এলাকায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থী জসিমের নেতৃত্বে অবরোধের কারণে এ সময় পুরো রাঙামাটি শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়ে নাগরিকরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন ও রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহামেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। এতেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে না এলে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দপ্তরের সাথে কথা বলেন তারা। মন্ত্রণালয়ে কথা বলার পর এক পর্যায়ে আগামী বুধবারের মধ্যে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের আশ^াস প্রদান করে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন কর্মকর্তারা। কিন্তু পরের দিন জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন উপজাতীয় শিক্ষার্থীরা। তারা স্থানীয়দের মধ্য থেকে ভিসি নিয়োগে দাবি তুললে আবারও দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত ৯ জানুয়ারি আবারও আন্দোলনে নামার কর্মসূচি ঘোষণা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অবশেষ আসে ভিসি নিয়োগের কাক্সক্ষীত ঘোষণা ও প্রজ্ঞাপন।
সবশেষে ২০০১ সালের সেই আইনের ১০(১) ধারা অনুসারেই ড. আতিয়ার রহমানকে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে ভিসি হিসেবে নিয়োগ প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্স এর একমাত্র ফেলো এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্যের সমন্বকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জানা গেছে, ড. আতিয়ার রহমান অত্যন্ত মেধাবি একজন শিক্ষাবিদ। তিনি যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি, ১৯৯২ সালে এইচএসসি, ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। অধ্যাপক রহমান ২০০৬ সালে জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনাইটেড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ এগ্রিকালচারাল সায়েন্সস থেকে জৈব রসায়ন ও খাদ্য বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান সরকারের এনআরএফ ফেলো হিসেবে ডারবানের কোয়াজুলু নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের পোস্টডক্টরাল গবেষণাও সম্পন্ন করেন।
সকল অনিশ্চয়তা কাটিয়ে রাবিপ্রবিতে ভিসি নিয়োগ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাঙামাটির সর্বস্তরের সচেতন মানুষ এবং শিক্ষানুরাগীরা। তারা আশা করেছেন মেধাবী এই শিক্ষাগুরু সকল প্রকারের সাম্প্রদায়িককতা, রাগ-অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে যোগ্যতা এবং ন্যায়পরায়নতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষের আশা ভরসার কেন্দ্রবিন্দু এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি নির্ভরযোগ্য ও শতভাগ একাডেমিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবেন।