রাঙামাটিতে জেলাপ্রশাসনের লোক ও কারুশিল্প মেলার জমকালো উদ্বোধন

49

 

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে জমকালো আয়োজনে শুরু হয়েছে জেলাপ্রশাসন আয়োজিত ১০ দিনের লোক ও কারুশিল্প মেলা। তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে রাঙামাটিতে ব্যাপক আয়োজনের এই মেলাটি ঘিরে ইতোমধ্যেই পার্বত্য শহর রাঙামাটিতে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাঙামাটির শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শুক্কুর স্টেডিয়ামে ফিতা কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে এই মেলার উদ্বোধন করেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী এই লোক ও কারুশিল্প মেলাটি পর্যটন মওসুমে বাড়তি অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করবে বলে মত প্রকাশ করেছেন ডিসি হাবিব উল্লাহ।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, সদর সেনাজোনের অধিনায়ক লে: কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী-পিএসসি, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীমসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকবৃন্দ, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্যবর্গ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বৈষম্য বিরোধি আন্দোলনের শিক্ষার্থী নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দেড় শতাধিক স্টল নিয়ে আয়োজিত এই মেলা চলবে আগামী ২৬শে জানুয়ারী পর্যন্ত। হরেক রকম দেশীয় ও স্থানীয় সামগ্রীর সমাহার নিয়ে স্টল সাজিয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের উদ্যোক্তারা, শিশুদের আনন্দের জন্য রয়েছে বিচিত্র সব রাইড।
মেলা উদ্বোধনের পর নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গোটা মেলার স্টল পরিদর্শন করেন জেলাপ্রশাসক। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তরুণদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে এবং পাহাড়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে সারাদেশের কাছে তুলে ধরতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার মাধ্যমে স্থানীয়দের জন্যও একটি বিনোদনের মাধ্যম সৃষ্টি হয়েছে। এই মেলার আয়োজন রাঙামাটির অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে বলে যোগ করেন ডিসি হাবি উল্লাহ।
এদিকে, মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, মেলা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলার নিরাপত্তা জন্য সর্বদা পোশাবধারি ও সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
দীর্ঘ ২০ বছরের অধিক সময় রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শুক্কুর স্টেডিয়ামে তেমন কেনো মেলার আয়োজন হয়নি। দীর্ঘদিন পর এমন একটি মেলার আয়োজন করায় জেলাপ্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা। মেরা ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সাড়া লক্ষ করা গেছে।
প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত চলা এই মেলা প্রাঙ্গণের পাশেই কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী স্থানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও কাপ্তাই হ্রদের মনোরম দৃশ্যাবলি মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মাঝে অন্যরকম ভালো লাগার সৃষ্টি করবে বলে মত প্রকাশ করেছে শিল্পানুরাগীরা।