রাঙামাটির কাউখালীতে শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে কাউখালী উপজেলা জামায়াতের পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউখালী উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হযরত মাওলানা আব্দুল রাজ্জাক তালুকদার ও সঞ্চালনায় ছিলেন ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন।
প্রধান অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল আলিম, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন রাঙামাটি জেলা সভাপতি মাওলানা এ বি এম তোফায়েল উদ্দিন, রাঙামাটি শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুস সালাম, পাইন বাগান নির্বাহী মাদ্রাসার পরিচালক হযরত মাওলানা মহিউদ্দিন ও বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কওমী উলামা কল্যান ফাউন্ডেশনে নেতৃবৃন্দসহ কাউখালী জামায়াতের সর্বস্তরের কর্মী বৃন্দ।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল আলিম বলেন, রমজান মাস ইসলামের ইতিহাসে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই মাস শুধু আত্মশুদ্ধি ও রোজার মাসই নয়, বরং ইসলামের বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাও এই মাসেই সংঘটিত হয়েছে। আসমানী কিতাবসমূহ নাজিলের মাস এটি। এই মাসেই বদর যুদ্ধ, মক্কা বিজয় হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রমজানের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রাত লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। তাই এই রমজানকে আমাদের পুরোপুরি ভাবে গ্রহণ করে তা পালন করতে হবে।
প্রধান আলোচক রাঙামাটি জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তাকওয়ার গুণের মাধ্যমেই মানুষ পৃথক হয়ে যায়।” রমজান মাস মুমিনদের জন্য তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময়। এই মাসে ইমানদারগণ দিনের বেলায় রোজা রাখার মাধ্যমে অনাহারে থাকে এবং রাতের বেলায় কিয়ামুল লাইল আদায় করে। এভাবেই তারা নিজেদের আত্মশুদ্ধি সাধন করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে।
পরিশেষে, মহামহিম আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় দোয়া ও ইফতারের মাধ্যমে এই সভার সুন্দর সমাপ্তি ঘটে।