স্টাফ রিপোর্টার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। স্থানীয় হোটেল প্রিন্স এন্ড রেস্টুরেন্ট এর ব্যবস্থাপনায় এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহায়তায় রাঙামাটি শহরের ৪০জন নারী উদ্যোক্তাকে নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা পরিষদের ‘পর্যটন সহায়ক জনশক্তি উন্নয়ন কর্মসূচির’ সহায়তায় শনিবার হোটেলের নিজস্ব মিলনায়তনে এই কর্মশালা শুরু হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটির সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখার সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, রাঙামাটি জেলার আকর্ষণীয় স্থানগুলোকে চিহ্নিত করে কোথায় কি করলে তা পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে সে বিষয়ে প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে। এ বিষয়ে আমরা কিছু বিশেষজ্ঞ নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া হবে। পার্বত্য চুক্তির আলোকে মাত্র কিছুদিন আগে ২০১৪ সালের শেষের দিকে পর্যটন খাতকে রাঙামাটি জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বিভাগটি হাতে না আসায় এর আগে পরিষদ এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। আমরা দায়িত্ব নিয়েই এ অঞ্চলের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতের প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। রাঙামাটি জেলাকে আকর্ষণীয় পর্যটন নগরীতে পরিণত করতে বিশেষ প্রকল্প প্রণয়নের কাজ করছি।
চেয়ারম্যান বলেন, এই শহরে আসা পর্যটকদের যথাযথ মর্যাদায় আথিয়েতা করাসহ তাদের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও বিশেষ পরিকল্প নিচ্ছি আমরা। এই আলো জেলা শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেষ্টুরেন্টগুলো, সিএনজি অটোরিক্সা চালক, বোট চালকসহ পর্যটকদের সাথে সংশ্লিষ্ট জনশক্তিকে পর্যটর বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণের পদক্ষেপ নিচ্ছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ঢাকা থেকে প্রশিক্ষক এনে এখানকার বিভিন্ন পর্যায়ের ষ্টেকহোল্ডারদের পর্যটন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
কর্মসূচির আয়োজক হোটেল প্রিন্স এন্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্তাধিকারী মো. নেসার উদ্দিন জানান, পর্যটন শহরের উন্নয়নে আমরা সাধ্যমতো আরো উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আজকের এই আয়োজন মুলত একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ, এর উদ্দেশ্য হলো বেকারত্ব দূরীকরণ, আতœকর্মসংস্থান সৃষ্টি, ফ্রেশফুডের সহজলভ্যতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়নের মাধ্যমে সমাজে নিজেদের আতœপরিচয় সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙামাটি ভৌগলিক অবস্থানের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অন্যতম একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন অঞ্চল। প্রতি বছর এখানে প্রচুর পরিমাণে দেশী-বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটে। পর্যটন বলতে শুধু হোটেল-মোটেল নয়, এটি একটি বহুমাত্রিক শিল্প। পরিবহন, যোগাযোগ, অবকাঠামো, বিনোদন, পার্ক, আবাসিক হোটেল ও খাবার রেষ্টুরেন্ট সবই পর্যটন শিল্পের অর্ন্তভূক্ত। সব কিছুর সমন্বয়ে এই শহরকে আমরা পযটন বান্ধব নগরীতে পরিণত করতে চাই।
পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান