খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : গুইমারায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যবসায়ীর গলা কাটা লাশ নিয়ে চাঞ্চলের সৃষ্ঠি হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে জোসনা বেগম (৫০) মো: হারুন, পারভিন আক্তার (২২) মো: খালেদ প্রকাশ (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৪৫) নামের ৫ জনকে দুই দফায় আটক করে ৫জনকে ৩দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গুইমারা থানা পুলিশ।
জানা যায়, গ্রেফতারের পর সন্দেহ ভাজনদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। নিহতের লাশ গুইমারা উপজেলার কবুতরছড়া এলাকা থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারী উদ্ধার করে গুইমারা থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের কোন পরিচয় না থাকায় লাশ খাগড়াছড়ি পৌর সভার মাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে গুইমারা থানায় একটি মামলা গত ৬ ফেব্রুয়ারী পুলিশ বাদী হয়ে করা হয়েছে। মামলা নং ১/১৬। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ধা-ছুড়ি উদ্ধার করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিহত রাসেল নামের ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত গ্রেফতারকৃত জোসনা বেগমের বাসায় বসবাস করত জোসনা বেগমকে খালা পরিচয় দিয়ে। সে চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলত। তার বাড়ী চান্দগাও থানার বদ্দারহাটহাট এলাকার বাসিন্দা বলে গ্রেফতারকৃত জোসনা বেগমের স্বামী ইলিয়াস মিয়া জানান, তার স্ত্রীর সাথে খালা পরিচয়ের সুত্র ধরে তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
নিহত রাসেল দীর্ঘদিন বিদেশে থাকত। পরিবারের সাথে মনোমালিন্যের কারনে রাসেল বিদেশ থেকে অর্জিত টাকা দিয়ে এখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গরুর ফার্ম প্রতিষ্টার সরঞ্জমাদী সংগ্রহ করছিল। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে গ্রেফতারকৃত নুর মোহাম্মদ ও খালেদ প্রকাশকে নিয়ে গরু কেনার জন্য জোসনা বেগমের বাড়ীতে আলাপ আলোচনা হয়। তার পর মঙ্গলবার গুইমারা বাজারের দিন নুর মোহাম্মদ ও খালেদ প্রকাশ গরু কেনেন। তার পর থেকেই রাসেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। নিখোঁজের ৩দিন পর গত ৫ই ফেব্রুয়ারী উপজেলার কবুতরছড়া এলাকা থেকে নিহতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান