ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২০ মার্চ ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : অগনিত ভক্ত শুভানুদ্ধাই ও পরিবার পরিজনদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি। আজ রবিবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউনাইটেড হাসপাতালের মিডিয়া মুখপাত্র ডা. সাগুফতা। মৃত্যুর সময় দিতির দুই সন্তান পাশে ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নিউরোসার্জারি পরামর্শক সৈয়দ সায়ীদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। দিতির মৃতদেহ এখনও আইসিইউতেই রাখা হয়েছে।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মস্তিস্কে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার পর দিতিকে গত বছরের ২৫ জুলাই মাদ্রাজের ইন্সটিটিউট অব অর্থোপেডিকস এন্ড ট্রমাটোলজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানকার ডাক্তাররা আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি। পরে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। অসুস্থ হওয়ার আগে দিতি ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ ও ‘মেঘে ঢাকা শহর’ নামে দুটি নতুন ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছিলেন। এছাড়াও প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করা এ অভিনেত্রী বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘রাজা বাবু’ ছবির কাজও করছিলেন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’।
দিতির মৃত্যুর খবরে বিনোদন মহলে শোকের ছায়ানেমে এসেছে। দিতিকে এক নজর দেখার জন্য তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান।
এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন, ববিতা, মৌসুমী, সুবর্না মুস্তাফা, ওমর সানী, মিশা সওদাগর, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সুব্রত, অরুনা বিশ্বাস, এসএহক অলিক, আরিফ খান, চয়নিকা চৌধুরী, বাধঁনসহ আরো অনেকে। সহকর্মীদের অশ্রুসিক্ত নয়নে মুর্হুতেই হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
সোমবার সকাল ৭টায় দিতির বাসভবনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দিতিকে শেষ বিদায়ের আগে সম্মান প্রদর্শনের জন্য তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থলে নেয়া হবে। দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় এফডিসিতে কাটিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সকাল ১০টায় এফডিসিতে তার মরদেহ নেয়া হবে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে দিতির মরদেহ সোনারগাঁওয়ের দত্তপাড়ায় বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। পরে বাদ জোহর স্থানীয় মসজিদের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান