মঈন উদ্দীন বাপ্পী- ২১ মার্চ ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : বসন্তের হিমেল বাতাস রাত্রীর নি:শব্দতায় “ কর্ণের দোয়ারে বেজে উঠলো “বীরঙ্গনার ইজ্জতে কেনা পতাকা আমার হাত দিবি না তুই রাজাকার, খবরদার!” কিংবা “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদীশার নিশা মুখ তার শ্রাবন্তীর কার’কার্য”, প্রশান্তির দূয়ার সাথে সাথে শিহরিত হলো। সবাই নির্বাক অনুভূতি চাহনী। রোববার রাতে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে গায়ক বুলবুল তার “চিৎকার’ এ্যালবাম এভাবে আত্মপ্রকাশ করলেন।
এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্য দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্যঞ্চলের সংঙ্গীত উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহােগিতার হাত বাড়িযে দেওয়া হবে। তিনি বলেন,সংস্কৃতি মানুষের প্রতিটি জীবনে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সংঙ্গীত বিমুখ মানুষ এ পৃথিবীতে পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর। সংঙ্গীত একদিকে যেমন মানুষকে বিনোদন প্রদান করে অন্যদিকে জীবন প্রবাহের চিত্র তুলে ধরে।
শিল্পী বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং রেডিও বেতার রাঙামাটি’র উপস্থাপক শিখা ত্রিপুরার সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, পার্বত্যঞ্চলের সংগীত গুরু মনোজ বাহাদুর গুর্খা, সাংস্কতিক ব্যাক্তিত্ব কুমার নন্দিত রায়। দীপংকর আরো বলেন, পার্বত্যঞ্চলে প্রতিভাবান শিল্পী থাকলেও যতেœর অভাবে তাদের প্রতিভার প্রসার ঘটাতে পারছে না। পার্বত্যঞ্চলের সংস্কতিক উন্নয়নে যতি আমরা সকলে যার যার জাযগা থেকে কাজ করি তাহলে এ অঞ্চলে প্রতিভাবান শিল্পীর আবির্ভাব ঘটবে এবং যারা ভবিষ্যতে জাতীয়সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রেখে দেশে ও অঞ্চলের সুনাম বৃদ্ধি করবে।
পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান