মোবাইল ফোন প্রতারণা ও সাইবার ক্রাইম বন্ধ হচ্ছে না

485

pdr-mobail

স্টাফ রিপোট- ৮ ডিসেম্বও ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): দেশে মোবাইল ভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সন্ত্রাসী, হয়রানি, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা প্রলোভনে ফেলে সর্বশান্ত করা বন্ধ করতে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫,  তারিখ থেকে সারা দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। যার কার্যক্রম প্রথমে ৩০ এপ্রিল ও পরে সময় বর্ধিত করে ৩১ মে পর্যন্ত করা হয়। ‘সেখানে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন’র অভিযোগ ছিল, গ্রাহকদেরকে হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং একজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে অন্য অনেক অনিবন্ধিত সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংগঠনটি বিভিন্ন সময় সংবাদ সম্মেলন বিবৃতি, সেমিনার ও স্মারকলিপি প্রদান করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে অবহিত করেছে।

সংশ্লীষ্ট মন্ত্রী অভিযোগগুলি স্বীকার করে এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে এ সকল তদন্ত কমিটি বা মনিটরিং সেল কোনটিই কার্যকর নয়।

বিটিআরসিতে বিভিন্ন সময় অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না । যার ফলে এসকল অপরাধী দেশের সাধারণ গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। আরো অভিযোগ রয়েছে প্রতারক চক্রের অর্থ লেনদেনের পথ সহজ করে দিয়েছে বিকাশ কম্পানী। এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় দিনের পর দিন রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করলেও তার প্রকিার করা যাচ্ছে না। র‌্যাপিড অ্যাকশন বেটালিয়ান র‌্যাব মাঝে মাঝে কিছু অভিযান পরিচালনা করে কিছু বিদেশী চক্র ও তাদের সহযোগী দেশীয় চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়। কিন্তু যাদের উপর এ তথ্য প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা ছিল তারা কিছুই করতে পাচ্ছে না।

অন্যদিকে ফেসবুকে ফ্যাক আইডি খুলে সহজেই এর মাধ্যমেও ভয়াবহ অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। যেমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাসির নগরের ঘটনা অন্যতম। অনেকের অজান্তেই বিভিন্ন অসামাজিক ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক বা ইউটিউব এ ছেড়ে দিচ্ছে। যার পরিণাম অনেক তরুন-তরুনি আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে। জানা গেছে, গত ৬ মাসে এ ধরনের অভিযোগ বিটিআরসিতে জমা পড়েছে প্রায় ১ হাজার ১শত’র অধিক।
অপারেটর গ্রাহকদের সাথে অপারেটররা বিভিন্ন সেবা দেওয়ার নামে যে প্রতারণা করে থাকে তাও এক ধরনের সাইবার ক্রাইম বলে মনে করা হয়। গত ৬ মাসে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা সংক্রান্ত ৭ হাজার ৫শত ৬১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গত অক্টোবরেও সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ৩৮৬টি। প্রকৃত পক্ষে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ এ পরিস্থিতির স্বীকার। গ্রাহকেরা ঝামেলায় জড়াতে চায় না বলেই অভিযোগ দায়ের করতে চান না। অচিরেই এ সকল সাইবার অপরাধ বন্ধ না করাতে সরকারের স্বদিচ্ছা প্রয়ো জন।

পোস্ট করেন- শামীমুলআহসান, ঢাকা ব্যুরো অফিস।