॥ মঈন উদ্দীন বাপ্পী ॥
পাবত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামলীগের নেতা দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্যঞ্চলের শ্রমজীবি মানুষের উন্নয়নে একমাত্র আওয়ামীলীগ সরকারই কাজ করে।
দীপংকর বলেন, ২০০৮ সালের আগে রাঙামাটির ফার্নিসার ব্যবসায়ীরা তাদের ফার্নিসার দোকানে তুলতে পারতো না। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ফার্নিসার ব্যবসায়ীদের সমস্যা দূর করে। এখন কেউ ফার্নিসার ব্যবসায়ীদের সমস্যার সৃষ্ঠি করে না।
আ.লীগের এ নেতা আরও বলেন, জেলেরা অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম ফেলে হ্রদে মাছ ধরে জীবন নির্বাহ করে। কিন্তু তিনমাস ধরে হ্রদ বন্ধকালীন সময়ে এসব জেলেরা অনেক কষ্ট করে জীবন নির্বাহ করে। কিন্তু আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জেলেদের কষ্ট লাঘব করার জন্য ভিজিএফ কার্ড চালু করে।
তিনি বলেন, অতীতে যদিও এসব জেলেদের বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ কার্ড অনেকে গুম করে ফেলে। সত্যিকারের জেলেরা ভিজিএফ কার্ড পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। ভবিষ্যতে জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত এসব ভিজিএফ কার্ড সত্যিকারের জেলেরা পায় সেজন্য মৎস্যজীবি নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান করেন।
কেন্দ্রীয় আ.লীগের সদস্য হওয়ায় রাঙামাটি মৎস্য শ্রমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি কর্তৃক সংবর্ধনা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম’র সভাপতিত্বে এ সংবর্ধনা সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, হাজী কামাল উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন বাবুল, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি জাহিদ আকতার,জেলা মৎস্যজীবি লীগের যুগ্ম আহবায় শ্যামল দেব, জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতাল আহম্মেদ, রাঙামাটি মৎস্য শ্রমিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আবুল বশর, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
সংবর্ধনা সভায় দীপংকর তালুকদার বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর সন্তু লারমা সেনাবাহিনীর কনাসার্ট ফর সলিডারিটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, সেনাবাহিনী পার্বত্যঞ্চলে শিক্ষা, সংস্কৃতি তথা পার্বত্যঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করছে যা প্রশংসার দাবিদার কিন্তু তিনি আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলে বেড়ায় পার্বত্যঞ্চল থেকে সেনাবাহিনী দূর করতে হবে।
আ.লীগের এ নেতা বলেন, সন্তু এক মুখে দুই নীতির কথা বলে।