দেশে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

668


॥ মোঃ হান্নান ॥

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেছেন, স্বাধীনতার পূর্ণতা তখনই সাফল্য পাবে যখন এদেশ দরিদ্রমুক্ত হবে, অশিক্ষা দুর হবে ও ক্ষুধামুক্ত দেশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, যারা যুদ্ধে বিরোধীতা করেছিল, যারা মা-বোনদের ইজ্জত লুটেছিল, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল; তারা এখনও সক্রিয়। নানামুখি ষড়যন্ত্রে নীল নকশা বাস্তবায়নে তৎপর। আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে হবে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।

বুধবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এসব কথা বলেন।

তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশদ্রোহী মানসিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করবেন না। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবেন। জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারীদের ভুল পথে ধাবিত করবেন না। জাতি বিভ্রান্তি হলে দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।

সভায় পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ফসল আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানে আমরা এ দেশ পেয়েছি। যদিওবা দেশকে মেধাশূণ্য করতে যে গভীর চক্রান্ত করা হয়েছিল, সে সব চক্রান্তকারীরা আজো থেকে নেই। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। একটি সয়ং সম্পূর্ণ রাষ্ট্র আমরা আশা করেছিলাম বলে, আমরা ক্রমান্বয়ে উন্নত দেশের কাতারে চলে যাচ্ছি।

পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যা একটি পরিকল্পিত ছক। এটি একটি কলংকজনক অধ্যায়। তবুও স্বাধীনতার এতবছর পরও দেখতে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত। এতে করে জাতিও বিভ্রান্তি হচ্ছে। এশহরে স্বাধীনতা বিরোধীদের নামে এখনও নামফলক রয়েছে যা সত্যি অপমানকর।

বুধবার জেলা শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ মানজারুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, পৌরমেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু, চেম্বার এন্ড কমার্স সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, পাবলিক কলেজ অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসাইন কবির, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ সরকার, রোভার স্কাউট কমিশনার নুরুল আবছার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে এম জসিম উদ্দিন বাবুল ও প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে। সঞ্চালনা করেন শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল।

সভায় অন্যান্যরা বক্তরা বলেন, দেশকে মেধা শূন্য করতেই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয় লাভের দু’দিন আগে (১৪ ডিসেম্বর) রাজাকারদের সহায়তায় পাকহানদাররা বুদ্ধিজীবীদের র্নিমমভাবে হত্যা করেছিল। বর্তমান সরকারের সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়ায় জাতি এখন অনেকটাই কলঙ্কমুক্ত। তবে এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব যুদ্ধাপরাধী রয়েছে তাদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা।