মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের সামাজিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিজেসিতে যোগদানের আহব্বান

607

স্টাফ রিপোর্টার- ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের সামাজিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি)’তে যোগদানের জন্য দেশবাসির প্রতি আহব্বান জানিয়েছেণ সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিঃ আবুল হোসেন আবু।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকবাহিনীকে হারিয়ে আমরা পূর্বপাকিস্তানকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সফল হলেও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ও কর্মসূচি এবং বঙ্গবন্ধুর আশা-আকাঙ্খা ‘সামাজিক অর্থনীতি ব্যবস্থা’ প্রবর্তন করতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সবগুলো সরকার। জানুয়ারী ৩০, ২০১৭ ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য “টাকা খরচের জায়গা না থাকলে শিক্ষায় বিনিয়োগ করুন” আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ২/৪ কথা লিখতেই হলো। আমরা মনে করি শিক্ষাকে কখনও বাণিজ্যিকিকরণ করা সঠিক হবেনা। রাষ্ট্র পরিচালনার অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন না করে সহযোগিতার নামে শুধুমাত্র স্বার্থভিত্তিক দানের অর্থে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো যাবেনা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সবগুলো সরকার বুর্জোয়া অর্থনীতিতে দেশ পরিচালনা করায় কিছু সংখ্যক লোক প্রচুর টাকার মালিক বনে গেছেন, যাদের টাকা খরচ করার জায়গা নেই। অথচ এখনও দেশের শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষের জীবন চলে “নুন আনতে পান্তা ফুরায়” এমন অর্থনৈতিক দৈন্যদশায়। দেশের প্রায় ২ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধারা এমনটি হবে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ধারনাই করেননি।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টা করেছিল স্বাধীনতা পরবর্তী অবিভক্ত জাসদ, বাকশাল ও অবিভক্ত ওয়ার্কার্স পার্টি; তারা পারেনি। দেশের বুর্জোয়া অর্থনীতির কাঠামো থেকে সাধারণ মেহনতি মানুষের স্বার্থে সামাজিক অর্থনীতির কাঠামোতে প্রবর্তন করতে যে ত্যাগ, তিতিক্ষা ও কর্মসূচির প্রয়োজন সময়ের বিবর্তনে তা করতে পারে একমাত্র বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি), অন্য কোন দল নয়।

দেশবাসীকে আহ্বান জানাই, আসুন ‘বিজেসি’কে সমর্থন দেন। আমরা রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আনব ইনশাল্লাহ্্।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।