স্টাফ রিপোর্ট- ১৫ মার্চ ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা ও সাধারণ সম্পাদক ¯েœহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টু এক যৌথ বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা-টিয়ারশেল নিক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘সরকার জনগণের স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এলপিজি ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার জন্য গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। এর প্রতিবাদে এদেশের বাম গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেমেছে। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাও ধারাবাহিকভাবে সরকারের এই স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে। তার অংশ হিসেবেই আজ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পুলিশ হামলা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে। পুলিশ হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহসম্পাদক খোকন মোহন্ত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য অনিমেষ রায়, সদস্য শরিফুল ইসলাম, বাংলা কলেজের আহ্বায়ক সজীব চৌহানসহ বিভিন্ন বামপন্থী দলের ১৬ জন নেতা-কর্মী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে গণতান্ত্রিক এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ। সরকার একদিকে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চিৎকার করছে। আর অন্যদিকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, প্রতিবাদ করার ন্যায়সঙ্গত অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এই হল অনির্বাচিত সরকারের গণতন্ত্রের নমুনা! গণতন্ত্র মানে মানুষের অধিকার হরণ নয়, অধিকার পূরণ। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী মহাজোট সরকার একের পর এক গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করেছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পায়ঁতারা করছে। এর ফলে সাধারণ নি¤œ-মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। এই অবস্থায় অধিকার রক্ষায় মানুষের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা মন্তব্য করেছেন, বাম মোর্চা কর্মীদের সচিবালয়ের উত্তর-পশ্চিম গেট লাগোয়া পুলিশের বেরিকেট ভাঙ্গার ধরণ ছিলো অনেকটা জামায়াত-শিবির স্টাইলেই। টিভি মিডিয়টর সংবাদের ভিডিওচিত্র তার প্রমান বহন করে। আইন বিদরা মনে করেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের বেরিকেট ভেঙ্গে সামনে যাবার মত পরিস্থিতি তর্বমানে বিদ্যমান নয়।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান, দৈনিক রাঙামাটি।