স্টাফ রিপোর্ট- ১ জুলাই ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি) : পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন আজ শনিবার ১ জুলাই সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। এতে গত ১৩ জুন রাঙ্গামাটি পাহাড় ধস ট্রাজেডির জন্য মূলতঃ কতিপয় উপজাতীয় কর্তৃক নির্বিচারে জুম চাষের নামে শত শত পাহাড়ের আগুন জে¦লে গাছপালা পুড়িয়ে ফেলাকেই দায়ী করা হয়। জুম চাষ বন্ধের ঘোষণাসহ শত শত ক্ষতিগ্রস্থদের পর্যাপ্ত ত্রাণ, ঘরবাড়ি নির্মাণসহ দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের মাধ্যমে উপজাতি বাঙ্গালি জনগোষ্ঠিকে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের জন্য জোর দাবী জানানো হয়।
সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান বক্তা ছিলেন পার্বত্য গণপরিষদের মহাসচিব এডভোকেট আলম খান, বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংগঠন বিবেক এর মহাসচিব মিসেস হাসিনা ইকবাল, বিএনপি নেতা হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মিসেস রোজী বেগম, প্রকৌশলী ফেরদৌস মানিক, কামরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন ও হারুন-অর-রশীদ। সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলন, সমঅধিকার নারী আন্দোলন, সমঅধিকার যুব আন্দোলন ও সমঅধিকার শ্রমিক আন্দোলনের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা উক্ত মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, যারা ভূমি ধসের জন্য পাহাড়ের বাঙালিদের বসতি স্থাপনাকে দায়ী করছেন, যারা শান্তিচুক্তির শতভাগ না বাস্তবায়নের জন্য পাহাড় ধসের কারণ বলছেন, তারা মূলত: মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। অন্যদিকে এই ডিজিটাল যুগে পার্বত্যবাসী জনগণ প্রকৃতির কাছে অসহায় থাকার রহস্য উদ্ধার করে দেশী-বিশেষজ্ঞ/বুদ্ধিজীবি সমন্বয়ে এই সমস্যা সমাধানের দাবী জানানো হয়।
বজ্রপাত এই ঘটনার জন্য দায়ী নয়। চীন, নেপাল, ভূটান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যেভাবে পাহাড় ধস ঠেকানো হয়, বাংলাদেশেও অনুরূপ প্রযুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষের জান-মাল, নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বক্তারা দাবী জানান। মানববন্ধনে ইসিমড ও চীন থেকে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে বিদেশী বিশেষজ্ঞ না এনে বুয়েট, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, ব্রাক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের দক্ষ অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রন জানিয়ে এই টেকনিক্যাল সমস্যা সমাধানের জোর দাবী জানানো হয়।
সভাপতির ভাষনে মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এত বড় দূর্যোগের পরও জেএসএস, ইউপিডিএফ, সন্তু লারমা, উষাতন তালুকদারেরা সরকার ও পাহাড়ের জনগণের পাশে দাঁড়ায় নাই কেন? তা খুবই দুঃখজনক। তিনি দেশী-বিদেশী, দাতা সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএনডিপি প্রভৃতি সংস্থাকে পাহাড়ের ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের ঘর-বাড়ী নির্মাণ তথা “একটি বাড়ী, একটি খামার” প্রকল্পের অনুকরণে স্থায়ী পুর্নবাসনের জোর দাবী জানান।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান