সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড় ধ্বসে বৃক্ষের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা ব্যাপক বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পাহাড়ে নতুন সবুজ বন সৃষ্টি করে সামাজিক বনায়নের কাজে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।
তিনি বলেন, বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি করে ন্যাড়া পাহাড়গুলো আবারো সবুজ বনে পরিণত করতে হবে। পাশাপাশি তিনি প্রত্যেককে বাড়ীর আঙ্গিনায় একটি করে ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণের আহবান জানান।
বৃস্পতিবার (৩ আগষ্ট) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলা ও বৃক্ষ রোপন অভিযান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বৃক্ষ মেলা ও মাস ব্যাপী বৃক্ষ রোপন অভিযানকে সামনে রেখে শহরে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। রাঙ্গামাটি পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
পরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙ্গামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মোঃ রফিকুল হাসান মুকুল, রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রনব ভট্টাচার্য্য, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।
সভায় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, মানুষের জীবন রক্ষার জন্য বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। একটি ফলজ গাছ সন্তানের ন্যয় বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মাকে আর্থিক সহায়তায় সাহায্য করে। গাছ শুধু মানুষের পুষ্টি সহায়তায় সাহায্য করেনা এই ফল খেয়ে পশু পাখিরাও জীবন ধারন করে। বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বৃক্ষরোপনের বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। ফলে দেশে অধিক হারে বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাগানের পাশাপাশি নিজ বাড়ীর আঙ্গিনা ও ছাদে গাছ লাগাতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করে। মেলায় রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন নার্সারির মালিকরা ৩৫টি ষ্টল দিয়ে ফলদ, বনজ ও ঔষধি চারা প্রদর্শন ও বিক্রয় করছে।