কৃষি শুমারীতে পার্বত্যাঞ্চলের জন্য আলাদা প্রশ্নপত্র ও স্বতন্ত্র গণণা পদ্ধতি সংযোজনের আহবান জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়াধীন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব এবং রাঙামাটি জেলার সাবেক জেলাপ্রশাসক সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের ভূমি ব্যবস্থাপনা, কৃষি আচার ও বনজ সম্পদের গুরুত্ব এবং অত্রাঞ্চলের কৃষ্টি-সংস্কৃতির অংশ এখানকার জুমচাষ পদ্ধতি ও প্রাণী সম্পদের বিষয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকায় তা তুলে আনতে হলে এ এলাকার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করার গুরুত্ব রয়েছে।
শনিবার দেশে কৃষি (শস্য, মংস্য ও প্রানীসম্পদ) শুমারী-২০১৮ উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো রাঙামাটিতে আয়োজিত অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আলাদা নজর এবং নজিরবিহীন আন্তরিকতা রয়েছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি (শস্য, মংস্য ও প্রানীসম্পদ) শুমারি ২০১৮ প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ন সচিব) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জাফর আহাম্মদ খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্ন সচিব ওয়াহিদুর রহমান, রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমসহ সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ২০২০ সালে কৃষি শুমারীর পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরে্যা। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটি থেকেই প্রথমবারের মতো মতবিনিময় ও অবহিতকরণ সভাটি করা হচ্ছে। কারন হিসেবে আয়োজকরা জানান, দেশের অন্যান্য সমতলভূমি নির্ভর জেলাগুলো থেকে অত্রাঞ্চলের ভৌগলিক ব্যবস্থাপনা এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি নির্ভর পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক তথ্যাবলি যাতে করে পূর্নাঙ্গভাবে কৃষি শুমারীতে অর্ন্তভূক্ত করা হয় এবং এই তথ্য দেশ-বিদেশে সঠিকভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যেই সর্বাজ্ঞে রাঙামাটি জেলায় এই অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটির সাবেক জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ধীন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম হচ্ছে নানান জাতের একটি সুদৃশ্য ফুলের বাগান।
বৈচিত্রময়তায় ভরা এই অঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিময় জীবন ব্যবস্থা পাহাড়ের সৌন্দর্য্যকে আরো শ্রীবৃদ্ধি করেছে। তাই এই অঞ্চলের সঠিক তথ্যাবলি দেশে-বিদেশে তুলে ধরার পাশাপাশি একটি আলাদা ফ্রেমে তুলে ধরা উচিত।