॥ বিদেশ প্রতিনিধি ॥
মানবতার জন্য কাজ করে আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছে পার্বত্য রাঙামাটির দুই কৃতি সন্তান। দুবাই ক্রাউন প্রিন্সের ধন্যবাদ-সম্বলিত ব্যাচ ও সরকারের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক পাওয়া বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবক দলে রাঙামাটির শামসুন নাহার সপ্না ও মোহাম্মদ জলিল সংযুক্ত ছিল।
আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাইয়ের কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবকালে লকডাউন হওয়া এলাকাগুলোতে স্বোচ্ছাসেবক নিয়োগ করে আমিরাত সরকার। আমিরাত সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সঙ্কটাপন্ন অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানাভাবে সহায়তা করে এই স্বেচ্ছাসেবক দল। তারা ৩১ মার্চ থেকে কাজ শুরু করে।
স্বেচ্ছাসেবকদের প্রসংশনীয় ভুমিকায় সন্তুষ্ট হয়ে তাদের এই সম্মাননা প্রদান করে আমিরাত সরকার। সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটির ১৯ সদস্যের টিমও ছিল। আর এই ১৯ জনের মধ্যে দু’জন রাঙামাটির।
১৮ অক্টোবর রোববার দুবাইয়ে ওয়াতানি আল ইমারাত ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বেলহোল আল ফালাসি তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও দুবাই ক্রাউন প্রিন্সের ধন্যবাদ-সম্বলিত বিশেষ ব্যাচ তুলে দেন। এ সময় টিম লিডার মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে টিমের বেশ কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া ও অসুস্থ প্রবাসীদের সেবা ও পরামর্শ দেওয়া প্রদান এবং ‘স্টে হোম’, ‘স্টে সেফ’ ক্যাম্পেইন এর মোটিভেশন চালায়।
মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক টিমে ছিলেন, মোদাসসের শাহ, আনোয়ার হোসাইন, আবদুল্লাহ আল শাহীন, শামসুন নাহার সপ্না (রাঙ্গামাটি) রুমা খাতুন, মোহাম্মদ জলিল (রাঙ্গামাটি) কাজি ইসমাইল, ফখরুদ্দীন চৌধুরী, মোহাম্মদ মিজান, মোহাম্মদ ইদ্রিছ, মোহাম্মদ মিজানুর, মঞ্জুর মোরশেদ, মোহাম্মদ নুরুল, মোহাম্মদ ইমরান, আনোয়ার আজিম, বাশির চোখদার, মাহামুদ হাছান ফরহাদ, মোহাম্মেদ সাইফ ও মিজানুর রহমান।