শাহ আলম- ৪ ডিসেম্বর ২০১৮, দৈনিক রাঙামাটি:
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধা, রাস্তা-ঘাট পাকা করায় বাধা, বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাঁদাবাজী, সম্ভাবণাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ সকল প্রকার উন্নয়নে অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করেই চলেছে পার্বত্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। এরা পাহাড়ের মানুষের উন্নয়ন চায় না। তাই এসবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ পঞ্জীভূত হয়ে আছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে পাহাড়ের মানুষ। আগামী দিনে ভোটযুদ্ধে তাদের পরাজিত করে চাঁদাবাজদের প্রতিহত করার শপথ এখন সবার চোখে মুখে।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে “কেমন রাঙামাটি চাই ও নির্বাচনী ভাবনা” শীর্ষক এক আলোচনাসভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে আগের চেয়ে চাঁদাবাজির পরিমাণ সামান্য কমেছে। তার কারণ পাহাড়ের সাধারণ মানুষ অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, আন্দোলন সংগ্রাম করছে। পাহাড়ের সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তালুকদার বলেন, গত নির্বাচনে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ৫৩টি কেন্দ্রে ৯৫% থেকে ৯৬% ভোট ডাকাতি করেছে। জনসংহতি সমিরি নেতা ঊষাতন এমপি হয়েছে। ১৩ই জুন পাহাড় ধ্বসে ১২০জন প্রাণ হারিয়ে রাঙামাটি জেলায়। কিন্তু একটিবারও তিনি কারো খোজ-খরব নেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হননি। কারণ তিনি জনগণের ভোটে, জনগণের ভালোবাসায় নির্বাচিত নয়। তিনি গত নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে বিজয়ী হয়ে তিনি এবং তার দল পার্বত্য অঞ্চলকে জুম্মল্যান্ড বানানোর পায়তারা করেছে। জু¤œল্যান্ডের পতাকা কি হবে? মুদ্রা কি হবে ? তা পরিকল্পনা করেছেন। তার কারন তিনি এমপি হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধা ৭টায় বনরুপাস্থ আলিফ মার্কেটের ২য় তলায় রাঙামাটি পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটিতে সর্বমোট ৬২টি পেশাজীবি সংগঠনের সাথে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, এবার আসন্ন নির্বাচনে আপনারা আর এই সুযোগ করে দিবেন না। যাতে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, গুম, হত্যা, চাঁদাবাজি পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। তাই তিনি সকলকে চোখ কান খোলা রাখার এবং সাথে সাথে সবাইকে জেগে থাকার জন্য অনুরোধ জানান এবং আগামী ৩ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেগে থাকার আহব্বান জানান। এবং সকলের সহযোগিতায় এবার ভোট কাটচুপির সুযোগ দেওয়া হবে না উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ভোট ডাকাতি কিংবা চেষ্টা করলে কেন্দ্রেই প্রতিহত করা হবে বলে।
রাঙামাটি পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের আহব্বায়ক বেলায়েত হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নিখিল কুমার চাকমা, চিংকো রোয়াজা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতাব্বর, সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, বর্তমান পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙামাটি পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রমুখসহ বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ৬২টি পেশাজীবি সংগঠনের মধ্যে থেকে ১০-১৫টি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তাদের “কেমন রাঙামাটি চাই ও নির্বাচনী ভাবনা” নিয়ে তাদের বক্তব্য রাখেন।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।