বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকদের বন্ধুর অভাব হয় না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, চুক্তির পরও আজ কাদের জন্য পাহাড়ের শান্তি প্রশ্নবিদ্ধ সেটা গণমাধ্যমকেই জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম অনলাইন টেলিভিশন সিএইচটি লাইভ টিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ও সৌহার্দ্য স্থাপনে সাংবাদিকদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নয়নের পক্ষে জনমত গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কোন সাংবাদিক পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রচার করুক আমরা তা চাইনা। কেননা সমাজে বিভ্রান্তি আর বৈষম্য তৈরি হয় এমন সংবাদে শান্তি এবং উন্নয়নও ব্যাহত হয়। এ জায়গা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম অনলাইন টেলিভিশন সিএইচটি লাইভ টিভি পাহাড়ের পথিকৃৎ হয়ে থাকবে। এজন্য সাংবাদিকদের সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. তৈয়ব চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি সেনা জোনের অধিনায়নক মোঃ রেদোয়ানুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুল ইলাম, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমদ, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল ও সিএইচটি লাইভ টিভির বার্তা প্রধান মোহাম্মদ সোলায়মান।
পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলোর নেতিবাচক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে দীপংকর বলেন, কাপ্তাই লেকের কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার উদ্ভব। সেই সমস্যার সমাধানও আমরা করে দিয়েছি। কিন্তু পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলোর নেতিবাচক কর্মকান্ডে পাহাড়ে উন্নয়ন ও শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। এটা চলতে পারেনা।
ডিজিটালি সারা বিশ্ব এগিয়ে গেছে, আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু মানসিকভাবে পাহাড়ের মানুষ পিছিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল যুগে এনালগ চিন্তা পাহাড়ের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এজন্য পাহাড়ে আঞ্চলিক দলগুলোর দায়িত্বশীল নেতারা দায় এড়াতে পারেন না।
পরে প্রধান অতিথি সিএইচটি লাইভ টিভির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করে কেক কাটেন। এসময় সিএইচটি লাইভ টিভির পক্ষ থেকে সম্মানিত অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধি, সমাজ কর্মি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এছাড়া আনুষ্ঠানিক যাত্রায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সিএইচটি লাইভ টিভি পরিবারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।