পাহাড়ে বাঁশ ভিত্তিক কুটির শিল্প গড়ে তোলার স্বপ্নে উন্নয়ন বোর্ডের বাঁশ প্রকল্পের কাজ শুরু

669

॥ আলমগীর মানিক ॥

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠির আয় বর্ধক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে উন্নত জাতের বাঁশ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ৪,২২০ জন প্রান্তিক বাঁশ চাষীকে নির্বাচন করা হয়েছে।

আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এসব বাশঁ চাষীর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৩ হাজার বাঁশ বাগান সৃজন করা হবে এবং ২৬০টি বাঁশ ভিত্তিক কুটির শিল্প স্থাপনে সহায়তা করা হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। শনিবার (৭জুলাই) সকালে প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী রাঙামাটি সদর উপজেলার ৭৮ জন বাঁশচাষীর মাঝে বিনামূল্যে প্রতিজনকে ২১৫টি করে ৬ প্রজাতির বাঁশের চারা বিতরন করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই চারা বিতরণ করেন। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, বাঁশ চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শাহিনুর ইসলাম, উন্নয়ন বোর্ড সদস্য ডঃ প্রকাশ কান্তি চৌধরী, সাপছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মিনাল কান্তি চাকমা বক্তব্য রাখেন ।

বাঁশের চারা বিতরন অনুষ্ঠানে নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পাহাড়ে সম্ভামনাময় কৃষি সেক্টরে বিভিন্ন আয়বর্ধক মুলক প্রকল্প গ্রহনের মাধ্যমে অনগ্রসর দরিদ্র ও প্রার্ন্তিক লোকজনদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে পাহাড়ের সম্ভাবনময় বিভিন্ন সেক্টরে আয়বর্ধনমূলক নানাবিদ প্রকল্প গ্রহণ করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বক্তারা বলেন পরিবেশ বিপর্যয় ও ব্যাপকহারে বাঁশ নিধনের কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঁশের উৎপাদন আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে।

পাহাড়ে বাঁশের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বাঁশ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এর ফলে বাশের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা রক্ষা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।