নানিয়ারচর উপজেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত

375

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় নানিয়ারচর সদর ও ২নং বুড়িঘাট ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩মে) সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার। এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিপন চাকমা।

সম্মেলনে নানিয়ারচর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ কর্মকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: রুবেল মৃধার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আনসার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কুদ্দুস হাওলাদার, ক্যায়োকই রোয়াজা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামুন ভূইয়া, অর্থ সম্পাদক জুয়েল বড়–য়া, ৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাবলুর রহমান, উপজেলা শ্রমকিলীগের সভাপতি রিপন তালুকদার, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফয়সাল খান, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক প্রিয়তোষ বড়–য়া প্রার্থ, নানিয়ারচর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুমন দাশ প্রমুখ।

এসময় ইলিপন চাকমা বলেন, ছাত্রলীগ ফিনিক্স পাখির মতো একটি সংগঠন। ছাত্রলীগকে যতবার আঘাত করা হয়, ধংস করার ষড়যন্ত্র করা হয়, ততবার আবার নতুন করে জেগে ওঠে ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ নতুন করে এগিয়ে যায়। ছাত্রলীগ যত সুশৃঙ্খল হবে, পরিশীলিত হবে, চাঁদাবাজ মুক্ত হবে, ছাত্রলীগ তত সামনের দিকে অগ্রসর হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। ছাত্রলীগে মাই ম্যান তৈরি করার সুযোগ নেই। যে যোগ্য তাকেই নেতা নির্বাচিত করতে হবে। কারণ আগামীতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় নেতৃত্ব দিবে।

সভায় আব্দুল জব্বার সুজন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোন অবৈধ ও অন্যায় কাজকে প্রশয় দেয় না। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত হলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আগামীতে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে, ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে মূল্যায়ন করা হবে।

সম্মেলনের শুরুতে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর মঞ্চে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।