জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলের গহীন অরণ্যে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। এ অঞ্চলের মানুষদের আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের আলাদা মনোযোগ রয়েছে। রয়েছে দীর্ঘ পরিকল্পনাও।
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ সে পরিকল্পনার একটি অংশ। সম্পুর্ণ ভিন্ন পরিবেশের এ অঞ্চলকে সরকার সবসময় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে থাকে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ২০১৬-১৭ সালে ১ম বর্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচিতি সভা ও শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি বৈরি এবং সম্পূর্ণ প্রতিকুল পরিবেশের মধ্য দিয়ে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পাহাড়ের মানুষকে অন্ধকারে রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য একটি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী মেডিকেল কলেজের যাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। এ অঞ্চলের জনগণ শিক্ষার আলোর স্বাদ পেলে নেতৃত্ব হারানোর ভয় কাজ করছিল বলেই বাধা প্রদান করেছিল।
কিন্তু প্রতিকুল পরিবেশকে পিছনে ফেলে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ তিন বছরে পা রেখেছে। এটা সম্ভব হয়েছে এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয় বলে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মানসিকতা এ অঞ্চলের মানুষের মনের মধ্যে জন্ম নিয়েছে বলে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মনোযোগ দিয়ে পড়বে।রাঙামাটি মেডিকেলের সুনাম উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাবে তোমাদের হাত ধরে।
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. নুপুর কান্তি দাশ, মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক ডা. সহিদ তালুকদার, ডা. রওনক জাহান। ডা. কহিনুর পারভীনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. সামশুল হক মল্লিক।
এর আগে ১ম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে পাশের হার ছিল ৬৫%। কলেজের সবমিলিয়ে বর্তমানে ১৫১জন শিক্ষার্থী। গত দুই বছরে শিক্ষক সংকট থাকলেও এখন ৪৭ জন শিক্ষক রয়েছেন।